
কোডের ধারণাঃ
কম্পিউটার ০ এবং ১ ছাড়া কিছু বুঝেনা। তাই সংখ্যা, বর্ণ ও বিশেষ চিহ্নগুলোকেও ০ এবং ১ এর মাধ্যমে কম্পিটারকে বুঝিয়ে দিতে হয়। ০ এবং ১ বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তৈরী করা এইসব অদ্বিতীয় বাইনারী সংকেতকেই বলা হয় কোড।
কোড তৈরীর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে।
নিউমেরিক কোডঃ
ইংরেজী শব্দ ‘Number’ থেকে এসেছে ‘নিউমেরিক’ শব্দটি, যার অর্থ সংখ্যাসূচক। অক্টাল, হেক্সাডেসিমাল ও বিসিডি পদ্ধতি ব্যবহার করে শুধুমাত্র সংখ্যাকে বাইনারী কোডে রূপান্তর করা যায়।
আলফানিউমেরিক কোডঃ
Alphabet বা বর্ণ ও Number মিলে এসেছে এই আলফানিউমেরিক নামটি। এই পদ্ধতিতে সংখ্যাসহ বর্ণ, যতিচিহ্ন, গানিতিক চিহ্ন ইত্যাদি বাইনারীতে রূপান্তর করা যায়। ASCII, EBCDIC ও UNICODE আলফানিউমেরিক কোডিং পদ্ধতি।
অক্টাল কোড (Octal Code)
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ৮, অর্থাৎ ০ থেকে ৭ এই মোট ৮ টি অংক নিয়ে গঠিত হয় এই পদ্ধতি। ৩ বিটের মাধ্যমে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির সকল অঙ্ককে বাইনারীতে প্রকাশ করা সম্ভব। কোন সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে ৩ বিটের মাধ্যমে বাইনারীতে প্রকাশ করলেই অক্টাল কোড তৈরী হয়।
হেক্সাডেসিমাল কোড (Octal Code)
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ১৬, অর্থাৎ ০ থেকে ৯ এবং A থেকে F এই মোট ১৬ টি অংক নিয়ে গঠিত হয় এই পদ্ধতি। ৪ বিটের মাধ্যমে হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির সকল অঙ্ককে বাইনারীতে প্রকাশ করা সম্ভব। কোন সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে ৪ বিটের মাধ্যমে বাইনারীতে প্রকাশ করলেই হেক্সাডেসিমাল কোড তৈরী হয়।
বিসিডি কোড (BCD Code)
BCD কোডের পূর্ণরূপ Binary Coded Decimal । বিসিডি কোন সংখ্যা পদ্ধতি নয়। যেহেতু আমরা ডেসিমাল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, তাই যতটুকু সম্ভব এই ডেসিমাল রূপটিকে অক্ষুণ্ণ রেখে বাইনারী সংখ্যায় প্রকাশ করার জন্য তৈরী করা হয়েছে BCD কোড পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ডেসিমাল সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে চারটি বিটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। চার বিট দিয়ে ২৪ অর্থাৎ ১৬ টি বাইনারী বিন্যাস সম্ভব হলেও এই পদ্ধতিতে ডেসিমালের ০ থেকে ৯ এই মোট দশটি অঙ্ককে প্রকাশ করা হয়।