অক্টাল থেকে বাইনারীতে রূপান্তরঃ অক্টালের বেজ ৮, অর্থাৎ ২৩। সুতরাং অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির অংকসমূহ ৩ বিটের মাধ্যমে বাইনারীতে প্রকাশ করা সম্ভব।
ধাপসমূহঃ
ধাপ-১ অক্টাল সংখ্যার প্রতিটি অংক বা ডিজিটকে ৩ বিটের বাইনারী সংখ্যায় প্রকাশ করবো। সেক্ষেত্রে কোন ডিজিটের বাইনারী মান ৩ বিটের কম হলে বামপাশে ০ বসিয়ে ৩ বিট পূর্ন করবো।
ধাপ-২ প্রাপ্ত সকল বাইনারী বিট একত্রে লিখবো।
উদাহরণঃ (35.362)8=(?)2
সুতরাং, (35.362)8=(011101.011110010)2
হেক্সা-ডেসিমাল থেকে বাইনারীতে রূপান্তরঃ উপরের নিয়মের মতই তবে এবার ৪ বিটের বাইনারী মান বসাবো।
উদাহরণঃ (3F.3A2)16=(?)2
সুতরাং, (3F.3A2)16=(00111111.001110100010)2
বাইনারী থেকে অক্টাল রূপান্তরঃ
ধাপসমূহঃ
ধাপ-১ বাইনারী সংখ্যার পূর্নাংশকে ডান থেকে বাম দিকে পর্যায়ক্রমে ৩ বিট করে সেট তৈরী করবো। প্রয়োজনে বাম দিক ০ বসিয়ে ৩ বিটের সেট বানাবো।
ধাপ-২ বাইনারী সংখ্যার ভগ্নাংশকে বাম থেকে ডান দিকে পর্যায়ক্রমে ৩ বিট করে সেট তৈরী করবো। প্রয়োজনে ডান দিক ০ বসিয়ে ৩ বিটের সেট বানাবো।
ধাপ-৩ প্রতি সেটের সমতূল্য অক্টাল মান বসিয়ে দিবো
উদাহরণঃ (11101.01111001)2 = (?)8
সুতরাং, (11101.01111101)2 = (35.362)8
বাইনারী থেকে হেক্সা-ডেসিমাল রূপান্তরঃ উপরের নিয়মের মতই তবে এবার ৪ বিটের বাইনারী সেট তৈরী করবো।
উদাহরণঃ (111111.00111010001)2=(?)16
সুতরাং, (111111.00111010001)2=(3F.3A2)16
অক্টাল ও হেক্সাডেসিমাল পারস্পারিক রুপান্তরঃ অক্টাল ও হেক্সাডেসিমালের পারস্পারিক রূপন্তর করতে বাইনারীর সাহায্য নিবো। আমরা উপরের নিয়মগুলো ব্যবহার করে সংখ্যাটিকে প্রথমে বাইনারীতে রুপান্তর করে নিয়ে তারপর তাকে টার্গেট সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর করবো।
অক্টাল ⇆ বাইনারী ⇆ হেক্সাডেসিমাল
হেক্সাডেসিমাল থেকে অক্টালঃ
ধাপসমূহঃ
ধাপ-১ হেক্সাডেসিমালকে প্রথমে বাইনারীতে রুপান্তর করবো।
ধাপ-২ প্রাপ্ত বাইনারী সংখ্যাকে অক্টালে রুপান্তর করবো।
উদাহরণঃ (3F.3A2)16=(?)8
প্রাপ্ত বাইনারী সংখ্যাঃ 00111111.001110100010
সুতরাং, (3F.3A2)16=(77.1642)8
অক্টাল থেকে হেক্সাডেসিমালঃ
ধাপসমূহঃ
ধাপ-১ অক্টালকে প্রথমে বাইনারীতে রুপান্তর করবো।
ধাপ-২ প্রাপ্ত বাইনারী সংখ্যাকে হেক্সাডেসিমালে রুপান্তর করবো।
উদাহরণঃ (77.1642)8 =(?)16
প্রাপ্ত বাইনারী সংখ্যাঃ 111111.001110100010
সুতরাং, (77.1642)8 =(3F.3A2)16