program_structure

এই অংশে আমরা জানবো একটি প্রোগ্রাম কিভাবে তৈরি করতে হয় সে  সম্পর্কে। একটি প্রোগ্রাম তৈরি করতে তাকে নির্দিষ্ট কিছু রীতি এবং গঠন পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। এই গঠন পদ্ধতি এবং রীতিকেই বলা হয় প্রোগ্রামের সংগঠন।

প্রোগ্রামের সংগঠন বলতে একটি প্রোগ্রাম তৈরীর রীতি ও গঠনকে বোঝায়।

প্রতিটি প্রোগ্রামে প্রধান ৩টি অংশ থাকে। যথাঃ

১। ইনপুটঃ একটি সমস্যা সমাধান করার জন্য কম্পিউটারকে যে ডেটা বা ইন্সট্রাকশন দেয়া হয় তাই ইনপুট।

২। প্রসেসিংঃ  ইনপুট থেকে ফলাফল পাওয়ার জন্য যে কাজগুলো করা হয় তাই প্রসেস।

৩। আউটপুটঃ  ইনপুটকে প্রসেস করে যে ফলাফল পাওয়া যায় তাই আউটপুট।

প্রোগ্রাম তৈরির ধাপসমূহঃ

১.সমস্যা নির্দিষ্টকরণ (problem identification): কোন সমস্যা চিহ্নিত না করতে পারলে তার সমাধান খোঁজা সম্ভব নয়। তাই সমস্যার সমাধান খোঁজার পূর্বে সমস্যা নির্দিষ্টকরণ ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা অবশ্যক।

২. সমস্যা বিশ্লেষণ (program analysis): একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করার জন্য সেই সমস্যা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে তা ছোট ছোট অংশে ভাগ করা হয়। এখানে ইনপুট ও আউটপুট সনাক্তে বিশেষ গুরুত্ব করা হয়।

৩.প্রোগ্রাম ডিজাইন (program designing): ইনপুট ও আউটপুট সনাক্ত করার পর তা কি ধরনের তা নির্দিষ্ট করা, ইনপুট ও আউটপুট এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা। যা সাধারণত আমরা প্রোসেস নামে জানি, তা কেমন হবে সেটি নির্দিষ্ট করাই এই অংশের কাজ। এ জন্য আমরা অ্যালগরিদম, ফ্লোচার্ট ও সুডোকোড এর সাহায্য নিতে পারি।

৪.প্রোগ্রাম কোডিং (program Coding): অ্যালগরিদম, ফ্লোচার্ট ও সুডোকোড অনুযায়ী আমাদের সুবিধামত একটি ভাষায় প্রোগ্রামটি লিখেফেলাকেই বলা হয় কোডিং।

৫.প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট (Program Development): একটি প্রোগ্রাম লিখার পর তা run করা হয়। এ পর্বের প্রথমে প্রোগ্রামকে টেষ্ট করা হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা সংশোধন করা হয়। একটি প্রোগ্রামের ভুলকে bug বলা হয় এবং তা সংশোধন করা কে debugging বলা হয়।

৬.প্রোগ্রাম ডকুমেন্টেশান (Program Documentation): এটি একটি প্রোগ্রাম তৈরীর শেষ ধাপ। এই ধাপে একটি প্রোগ্রাম তৈরীর জন্য যা যা প্রয়োজন হয়েছিল তা সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তার পরিবর্তন করা হয়।

চিত্রঃ প্রোগ্রাম তৈরির ধাপসমূহ।

প্রোগ্রামের ভুলকে সাধারণত ৩ ভাগে ভাগ করে যায়। যথাঃ

১. সিনট্যাক্স ভুল (syntax error): সিনট্যাক্স ভুল বলতে একটি প্রোগ্রামের বিভিন্ন স্টেটমেন্টের বানান ভুল এবং প্রোগ্রামের ব্যাকরনগত ভুলগুলোকে বোঝায়। যেমন printf() কে print() বা prinf() অথবা Printf() লেখা। ভেরিয়েবলের বানান ভুল লেখা এবং কমা, বন্ধনি, সেমি কোলোন  ঠিক মতো ব্যবহার না করা প্রভৃতি সিনটেক্স ভুলের উদাহরণ।

 

২. লজিক ভুল বা (logic error): একটি প্রোগ্রামে অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসার কারন প্রোগ্রামে লজিক বা যুক্তির ভুল। যেমন a<b এর জায়গায়  a>b ব্যবহার করা। লজিক ভুল এর ক্ষেত্রে কম্পিউটার কোনো error message দেয় না তাই ভুল খুজে বের করা জটিল।

 

৩. রান টাইম ভুল বা (run time error): একটি প্রোগ্রামকে নির্বাহ বা run/execute করার সময় এই ভুল প্রদর্শন করে। প্রোগ্রামে ত্রুটিপূর্ণ ডেটা ইনপুট করলে বা ডেটার ফরমেট ঠিক না থাকলে run time error দেখায়। ঋনাত্মক সংখ্যাকে বর্গমূল করা বা কোনো সংখ্যাকে ০ দিয়ে ভাগ করলে run time error দেখাবে।