
তার বিহীন মাধ্যম:
কোনো ধরনের মাধ্যম ছাড়া যখন তথ্য আদান-প্রদান করা হয় তখন তাকে তারবিহীন বা ওয়্যারলেস মিডিয়া বলে।
রেডিও ওয়েভ ও এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
i) কম্পাংক 3 কিলোহার্টজ থেকে 300 গিগাহার্টজ হলেও অধিক কার্যকর 10 কিলোহার্টজ থেকে 1 গিগাহার্টজ এর মধ্যে।
ii) তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 30km থেকে 30 cm পর্যন্ত কাজ করে।
iii) একই ফ্রিকুয়েন্সিতে একাধিক প্রেরক থাকলে তাদের মধ্যে ইন্টারফিয়ারেন্স হয়।
iv) বেশি ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে না।
v) প্রতিকূল পরিবেশে রেডিও যোগাযোগ কার্যকর থাকে।
vi) ডেটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
মাইক্রোওয়েভ ও এর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
i) 1 GHz থেকে 100 GHz কম্পাংক সম্পন্ন। 2GHz বা এর অধিক কম্পাঙ্ক এ ডেটা ট্রান্সমিট করে।
ii) এর তরঙ্গ সোজাসুজি যায়।
মাইক্রোওয়েতে যোগাযোগ দুধরনের হয়ে থাকে:
১. টেরিস্ট্রিয়াল মাইক্রোওয়েভ:
সাধারণত যে সব জায়গায় ক্যাবল ব্যবহার করার অনুপযোগী সে সব স্থানে টেরিস্ট্রিয়াল ট্রান্সমিটার বসানো হয়। মধ্যবর্তী কোন বাঁধা অতিক্রম করতে পারে না। এজন্যে এদের কে উচু জায়গায় রাখা হয়। প্রতি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পরপর রিপিটার বা রিলে স্টেশন বসাতে হয়।
২. স্যাটেলাইট মাইক্রোওয়েভ:
একটি স্যাটেলাইট ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৪০০০ কিমি ঊর্ধ্বাকাশে স্থাপিত করা হলে সেটি জিওস্টেশনারি হয়। মাইক্রোওয়েভ বায়ুমন্ডলের আয়নোস্ফিয়ার ভেদ করে যাতায়াত করতে পারে বলে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে মাইক্রোওয়েভে সিগন্যাল আদান-প্রদান করা হয়। সিগন্যাল গ্রহণ করার জন্যে ভূমিতে VSAT বসানো হয়। বঙ্গবন্ধু-১ এট Geostationary Earth Orbit বা GEO স্যাটেলাইট।