৩য় অধ্যায় ১ দাগ

সংখ্যা পদ্ধতি

১। সংখ্যাপদ্ধতি কি?

 

উত্তরঃ যে পদ্ধতির মাধ্যমে সংখ্যা গননা ও প্রকাশ করা হয় তাকে সংখ্যাপদ্ধতি বলে। 

 

২। অংক কি?

 

কোন সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্নসমূহকে ঐ সংখ্যাপদ্ধতির অংক বলে।

 

৩। সংখ্যাপদ্ধতির বেজ কি?

 

উত্তরঃ সংখ্যা প্রকাশের জন্য কোন সংখ্যাপদ্ধতিতে যতগুলো অংক ব্যবহার করা হয় তাকে ঐ সংখ্যাপদ্ধতির বেজ বলে।

৪। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে 0 ও 1 এই দুইটি অংক ব্যবহার করে সকল সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। 

৫। ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8 ও 9 এই মোট দশটি অংক ব্যবহার করে সকল সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয় তাকে ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। 

৬। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6 ও 7 এই মোট সাতটি অংক ব্যবহার করে সকল সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। 

৭। হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, A, B, C, D, E ও F এই মোট ষোলটি অংক ব্যবহার করে সকল সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয় তাকে হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।



কোড

৮। কোড কি? 

 

উত্তরঃ মানুষের ব্যবহৃত বর্ণ, অঙ্ক, সংখ্যা প্রভৃতি যে সকল অদ্বিতীয় বাইনারী সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে কোড বলা হয়। 

 

৯। নিউমেরিক কোডঃ

যেসব পদ্ধতিতে শুধুমাত্র সংখ্যাকে বাইনারীতে রূপান্তর করা যায় তাদের নিউমেরিক কোড বলে । যেমনঃ বিসিডি, অক্টাল কোড, হেক্সাডেসিমাল কোড।  

১০। আলফানিউমেরিক কোডঃ

যেসব পদ্ধতিতে সংখ্যাসহ বর্ণ, যতিচিহ্ন, গানিতিক চিহ্ন ইত্যাদি বাইনারীতে রূপান্তর করা যায় তাদের আলফানিউমেরিক কোড বলে । যেমনঃ ASCII, EBCDIC ও UNICODE। 

 

১১। BCD কোড কাকে বলে? 

উত্তরঃ ডেসিমেল সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে তার সমতুল্য ৪ বিটের বাইনারি মান দ্বারা প্রকাশ করলে প্রাপ্ত বাইনারী বিন্যাসটিকে BCD কোড বলে।

১২। অক্টাল কোড কাকে বলে?

উত্তরঃ  কোন সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে ৩ বিটের মাধ্যমে বাইনারীতে প্রকাশ করলে যে কোড  তৈরী হয় তাকে অক্টাল কোড বলে।

১৩। হেক্সাডেসিমাল কোড কাকে বলে?

উত্তরঃ  কোন সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে ৪ বিটের মাধ্যমে বাইনারীতে প্রকাশ করলে যে কোড  তৈরী হয় তাকে হেক্সাডেসিমাল কোড বলে।



বুলিয়ান অ্যালজেবরা

১৪। বুলিয়ান অ্যালজেবরা কী? [য. বো. ‘১৭]

 

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরা হলো যৌক্তিক চলক এবং যুক্তিমূলক অপারেশনসমূহের সহযোগে গঠিত গণিত।

 

১৫। বুলিয়ান পূরক কাকে বলে?

 

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যেকোনো চলকের মান 0 বা 1 হতে পারে। এ0 এবং 1 কে একটি অপরটির বুলিয়ান পূরক বলা হয়।

 

১৬। বুলিয়ান চলক কী?

 

উত্তরঃ ডিজিটাল লজিকে দুই ধরনের বাইনারি অঙ্ক 0 ও1 ব্যবহৃত হয়। বুলিয়ান চলকের মান 0 ও 1 দুটি হতে পারে।

 

১৭। বুলিয়ান উপপাদ্য কী?

 

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরার জটিল সমীকরণকে সরলীকরণ করার জন্য যে সকল উপপাদ্য ব্যবহার করা হয়, তা-ই বুলিয়ান উপপাদ্য।

 

১৮। জর্জ বুল কে?

 

উত্তরঃ জর্জ বুল হলো ইংরেজ গণিতবিদ। তিনি যুক্তির মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করেন। জর্জ বুল ‘Mathematics of Logic’ নামে তাঁর গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করেন।

 

১৯। বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কাকে বলে?

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধু বুলিয়ান যোগ ও গুণের সাহায্যে সব অঙ্ক করা যায়। যোগ ও গুণের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কতগুলো নিয়ম মেনে চলে। এ নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলে।



গেট

২০। লজিক গেইট কী? [চ. বো. ‘১৭; ব. বো. ‘১৫, ‘১৬]

 

উত্তরঃ যে সকল ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক সার্কিট যুক্তিভিত্তিক সংকেতের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে সে সকল সার্কিটই লজিক গেইট।

 

২১। মৌলিক গেইট কী? [মা. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ যে সকল গেইট অন্য কোনো গেইটের সাহায্য ছাড়া তৈরি করা যায়, তা-ই মৌলিক গেইট।

 

২২। NOT গেইট কী?

 

উত্তরঃ যে লজিক গেইটে একটি মাত্র ইনপুটের জন্য শুধু একটি আউটপুট পাওয়া যায় এবং আউটপুটটি ইনপুটের কমপ্লিমেন্টের (পূরক) সমান হয়, তা-ই NOT গেইট।

 

২৩। AND গেইট কী?

 

উত্তরঃ যে গেইটের সকল ইনপুট 1 হলে আউটপুট 1 হয় এবং যেকোনো একটি ইনপুটপ । হলে আউটপুট 0 হয়, তা-ই AND গেইট।

 

২৪। OR গেইট কী?

 

উত্তরঃ যে গেইটের সকল ইনপুট হলে আউটপুট ০ হয় এবং যেকোনো একটি ইনপুট । হলে আউটপুট 1 হয়, তা-ই অর গেইট।

 

২৫। যৌগিক গেইট কী?

 

উত্তরঃ যে গেইট এক বা একাধিক মৌলিক গেইটের সমন্বয়ে গঠিত, তা-ই যৌগিক গেইট।

 

২৬। সর্বজনীন গেইট কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে গেইট দিয়ে মৌলিক গেইটগুলো বাস্তবায়ন করা যায় তাকে সর্বজনীন গেইট বলে।

 

২৭। সর্বজনীন গেইট দুইটির নাম কী?

 

উত্তরঃ সর্বজনীন গেইট দুইটির নাম হলো- NAND NOR

 

২৮। Universal গেইট কী? [চ. বো. ‘১৯]

 

উত্তরঃ যে সকল গেইটের সাহায্যে মৌলিক গেইটসহ (AND, OR, NOT) অন্যান্য সকল গেইটসমূহকে তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায়, তা-ই Universal গেইট বা সর্বজনীন গেইট।

 

২৯। ন্যান্ড (NAND) গেইট কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে গেইটের সকল ইনপুট 1 হলে আউটপুট ০ হয়, অন্যথায় আউটপুট 1 হয়, তাকে ন্যান্ড (NAND) গেইট বলে।

 

৩০। NOR গেইট কী?

 

উত্তরঃ যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিটে দুই বা ততোধিক ইনপুট দিয়ে একটিমাত্র আউটপুট পাওয়া যায় এবং কোনো একটি ইনপুট এর মান 1 হলেই আউটপুট ০ হবে, অন্যথায় আউটপুট 1 হবে, তা-ই NOR গেইট।

 

৩১। X-OR গেইট কী?

 

উত্তরঃ যে গেইটের ইনপুটে বিজোড় সংখ্যক 1 থাকলে আউটপুট 1 হয়, অন্যথায় আউটপুট ০ হবে, তা-ই X-OR গেইট।

 

৩২। এক্স নর (X-NOR) গেইট কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিটে দুই বা ততোধিক ইনপুটের মধ্যে বিজোড় সংখ্যা 1 ইনপুট এর জন্য আউটপুট 0 হয় এবং জোড় সংখ্যাক 1 ইনপুট-এর জন্য আউটপুট 1 হয়, তাকে এক্স-নর (X-NOR) গেইট বলে।

 

৩৩। সত্যক সারণি কী? [য. বো. ‘১৬; দি. বো. ‘১৯]

উত্তরঃ যে সকল টেবিল বা সারণির মাধ্যমে বিভিন্ন গেইটের কার্যনীতিকে প্রকাশ করা হয়, অর্থাৎ লজিক সার্কিটের ইনপুটের উপর আউটপুটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়, তা-ই সত্যক সারণি।



অ্যাডার

৩৪। অ্যাডার কী? [কু. বো. ‘১৮, ‘২৩; ব. বো. ‘১৯, ‘১৫, চ. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ অ্যাডার হলো একটি সমবায় বর্তনী, যার সাহায্যে যোগের কাজ করা হয়।

 

৩৫। বাইনারি অ্যাডার কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে অ্যাডার দুটি বাইনারি বিট যোগ করতে পারে তাকে বাইনারি অ্যাডার বলে।

 

৩৬। ক্যারি বিট কী? [মা. বো. ১৯]

 

 উত্তরঃ মূল বিটের সংখ্যার চেয়ে একটি বিট বেশি হলেই উক্ত বিটকে ক্যারি বিট বলে।

 

৩৭। ফুল অ্যাডার কী?

 

উত্তরঃ যে বর্তনীর সাহায্যে তিনটি বাইনারি A, B ও ক্যারি C₁ যোগ করার পর দুটি আউটপুট সংকেত যার একটি যোগফল ১ এবং আউটপুট ক্যারি C. পাওয়া যায় তাই ফুল অ্যাডার।

 

৩৮। পূর্ণযোগ বর্তনী কী?

উত্তরঃ যে সমবায় বর্তনীতে বাইনারি দুটি অঙ্ক ছাড়াও ক্যারি যোগ করে যোগফল (S) এবং ক্যারি (Co) পাওয়া যায়, তা-ই পূর্ণযোগ বর্তনী।



এনকোডার

৩৯। এনকোডার কী? [ব. বো. ‘১৭; ঢা. বো. ‘১৯; রা. বো., ম. বো. ‘২৩] 


উত্তরঃ যে সমবায় বর্তনীর সাহায্যে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করা হয়, তা-ই এনকোডার।



ডিকোডার

৪০। ডিকোডার কী? [সি. বো. ‘১৭]


উত্তরঃ যে ডিজিটাল বর্তনীর সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় অর্থাৎ কোডেড ডেটাকে আনকোডেড ডেটায় রূপান্তর করা হয়, তা-ই ডিকোডার।



রেজিস্টার

৪১। ফ্লিপ-ফ্লপ কী? [ব. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ ফ্লিপ-ফ্লপ হলো লজিক গেইট দিয়ে তৈরি এক ধরনের ডিজিটাল বর্তনী যা এক বিট তথ্য ধারণ করতে পারে। প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপে এক বা একাধিক ইনপুটের জন্য দুটি আউটপুট পাওয়া যায়।

 

৪২। রেজিস্টার কী? [রা. বো. ‘১৯; কু. বো. ‘১৬, ‘১৭, সি. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ রেজিস্টার হলো মাইক্রো প্রসেসরের অভ্যন্তরে অবস্থিত উচ্চ গতিসম্পন্ন মেমোরি।

 

৪৩। শিফ্ট রেজিস্টার কী?

উত্তরঃ যে রেজিস্টার বাইনারি তথ্যকে ডানদিকে বা বামদিকে বা উভয় দিকে সরাতে পারে তাকে শিফ্ট রেজিস্টার বলে।

কাউন্টার

৪৪। বাইনারি কাউন্টার কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে কাউন্টার বাইনারি ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে তাকে বাইনারি কাউন্টার বলে।

 

৪৫। কাউন্টার কী?/কাকে বলে? [মা. বো. ‘১৯; স. বো. ‘১৮, দি. বো., ঢা. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ কাউন্টার হচ্ছে এক ধরনের সিকোয়েন্সিয়াল সার্কিট বা রেজিস্টার, যার মাধ্যমে ইনপুট পালসের সংখ্যা গণনা করা যায়।

 

৪৬। মোড নম্বর কাকে বলে?

 

উত্তরঃ একটি কাউন্টারের প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে আবার প্রথম ধাপে ফিরে আসতে যতগুলো ধাপ প্রয়োজন হয় তাকে ঐ কাউন্টারের মোড নম্বর বলে।

 

৪৭। কাউন্টার মোড নাম্বার কী? [য. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ একটি কাউন্টার প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে আবার প্রথম ধাপে ফিরে আসতে যতগুলো ধাপ প্রয়োজন হয় তাকে ঐ কাউন্টারের মোড নাম্বার বলে।

 

৪৮। সিনক্রোনাস কাউন্টার কী?

উত্তরঃ যে কাউন্টারে একটি মাত্র ক্লক পালস্ সবগুলো ফ্লিপ ফ্লপের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় তাকে সিনক্রোনাস কাউন্টার বলে।