২য় অধ্যায় ক দাগ

কমিউনিকেশন সিস্টেম

১. কমিউনিকেশন সিস্টেম কী?

 

উত্তরঃ যে পদ্ধিতির মাধ্যমে যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করা হয় তাকে কমিউনিকেশন সিস্টেম বলে।

 

২. ডেটা কমিউনিকেশন কী? [কু. বো, ‘১৭: দি. বো. ‘১৯]

 

উত্তরঃ যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান-প্রদান করাকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে। 

 

৩. মডুলেশন কী? [সি. বো. ‘১৮]

 

উত্তরঃ মডেমের মাধ্যমে ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ সংকেতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াই হলো মডুলেশন।

 

৪. ডিমডুলেশন কী? [ঢা. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ মডেমের মাধ্যমে অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াই হলো ডিমডুলেশন।

 

৫. মডেম কী? [কু. বো.; চ. বো.; সি. বো. ‘১৭]

 

উত্তরঃ মডেম হলো মডুলেশন ও ডিমডুলেশন করার জন্য ব্যবহৃত একটি ডেটা কমিউনিকেশন ডিভাইস।

 

৬. ব্যান্ডউইথ কী? [রা. বো. ১৬; মা. বো. ‘১৭; সি. বো. ‘১৮; দি. বো. ‘১৯; ‘২৩, য. বো, ম. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হার-ই হলো ব্যান্ডউইথ।

 

৭. ন্যারো ব্যান্ড কী?

 

উত্তরঃ যে ব্যান্ডে ডেটা চলাচলের গতি সাধারণত 45 bps (bit per second) থেকে সর্বোচ্চ 300 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে তাকে ন্যারো ব্যান্ড বলে।

 

৮. ভয়েস ব্যান্ড কী?

 

উত্তরঃ যে ব্যান্ডে ডেটা চলাচলের গতি সাধারণত সর্বনিম্ন 1200 bps থেকে সর্বোচ্চ 9600 bps পর্যন্ত হয়ে থাকে তাকে ভয়েজ ব্যান্ড বলে।



ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড

৯. সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন কী? [মা. বো. ‘১৯] 

 

উত্তরঃ যে ট্রান্সমিশনে ডেটা পর্যায়ক্রমে ১ বিট করে আদান-প্রদান করা হয় তাকে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে। 

 

১০. সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী? [সি. বো. ‘১৮]

 

উত্তরঃ যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে সমান বিরতিতে ডেটাসমূহকে ব্লক আকারে ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। 

 

১১. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন কী?

 

উত্তরঃ যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে সমান বিরতিতে ডেটাসমূহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। 

                                         

১২. আইসোক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন কী? 

 

উত্তরঃ যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে স্টার্ট ও স্টপ বিট সহযোগে ডেটাসমূহকে ব্লক আকারে ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। 

 

১৩. বিট সিনক্রোনাইজেশন কাকে বলে?

উত্তরঃ সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বিট সিনক্রোনাইজেশন বলে।



ডেটা ট্রান্সমিশন মোড

১৪. ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী? [রা. বো. ‘১৯; সি. বো. ‘১৭; ব. বো. ১৬]

 

উত্তরঃ ডেটা প্রবাহের নির্দিষ্ট দিক-ই হলো ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।

 

১৫. সিমপ্লেক্স মোড কী? 

 

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে ডেটা শুধুমাত্র একটি দিকেই প্রেরণ করা যায় তাকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। 

 

১৬. হাফ ডুপ্লেক্স মোড কী? [সি. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই প্রান্তের ডিভাইসই ডেটা প্রেরণ বা গ্রহণ করতে পারে, তবে একইসাথে নয় তাকে হাফ ডুপ্লেক্স মোড বলে। 

 

১৭ . ফুল ডুপ্লেক্স মোড কী? [কু. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই প্রান্তের ডিভাইসই ডেটা একইসাথে প্রেরণ ও গ্রহণ উভয়ই করতে পারে তাকে ফুল ডুপ্লেক্স মোড বলে। 

 



ডেটা ডেলিভারি মোড

১৮. ইউনিকাস্ট মোড কাকে বলে?

উত্তরঃ যে ব্যবস্থায় প্রেরকের কাছ থেকে শুধুমাত্র একটি গ্রাহকই ডেটা গ্রহণ করতে পারে তাকে ইউনিকাস্ট মোড বলে।

 

১৯. মাল্টিকাস্ট মোড কী? [ব. বো. ‘১৯]

 

উত্তরঃ যে ব্যবস্থায় প্রেরকের কাছ থেকে পাঠানো ডেটা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহকই গ্রহণ করতে পারে তাকে মাল্টিকাস্ট মোড বলে।

 

২০. ব্রডকাস্ট কী?

 

উত্তরঃ যে ব্যবস্থায় প্রেরকের সাথে সংযুক্ত সকল গ্রাহক একইসাথে ডেটা গ্রহণ করতে পারে তাকে মাল্টিকাস্ট মোড বলে।



তার মাধ্যম

২১. ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম কী? [চ. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ উৎস থেকে গন্তব্য পর্যন্ত যার মধ্য দিয়ে ডেটা চলাচল করতে পারে তাকে ডেটা কমিউনিকেশনের মাধ্যম বলে।

 

২২. টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল কী?

 

উত্তরঃ দুটি পরিবাহী কপার বা তামার তারকে সুষমভাবে পেঁচিয়ে যে ধরনের ক্যাবল তৈরি করা হয় তাই টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল।

 

২৩. কো-এক্সিয়াল ক্যাবল কী?

 

উত্তরঃ LAN এ ব্যবহৃত প্রথম ক্যাবল টাইপই হচ্ছে কো-এক্সিয়াল ক্যাবল।

 

কো-এক্সিয়াল ক্যাবল হলো এক ধরনের ক্যাবল যার কেন্দ্রস্থলে একটি ধাতব তার ও এর চারপাশে ফোম বা প্লাস্টিকের আবরণ থাকে। এই অপরিবাহী আবরণের উপর তারজালী ও ধাতব ফয়েল পেপার এবং সর্বশেষ স্তরে থাকে প্লাস্টিকের জ্যাকেট।   

 

২৪. কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের কয়টি অংশ?

 

উত্তরঃ কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের চারটি অংশ।

 

২৫. থিকনেট কী?

 

উত্তরঃ থিকনেট হলো ভারী ও নন ফ্লেক্সিবল মিডিয়া।

 

২৬. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল কী? [মা. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ স্বচ্ছ কাঁচ বা প্লাস্টিকের তৈরি সরু নল যার মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলোক সিগন্যালকে পরিবাহিত করে ডেটা আদান-প্রদানের করা হয়। 

 

২৭. ক্লাডিং কী?

 

উত্তরঃ ক্লাডিং অপটিক্যাল ফাইবারের একটি অংশ যা কাচ বা প্লাস্টিকের তৈরি।



তারবিহীন মাধ্যম

২৮. WiMAX কী? [রা. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ WiMAX হলো দ্রুতগতির একটি যোগাযোগ প্রযুক্তি যেটি তারযুক্ত ইন্টারনেটের পরিবর্তে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে।

 

২৯. WiMAX এর পরিসর কত কিলোমিটার?

 

উত্তরঃ WiMAX এর পরিসর বা বিস্তৃতি সাধারণত 10 km থেকে 50 km পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

৩০. Wi-Max-এর পূর্ণরূপ কী?

 

উত্তরঃ Wi-Max-এর পূর্ণরূপ- Worldwide Interoperability for Microwave Access.

 

৩১. বুটুথ কী? [ঢা. বো.; রা. বো. ‘১৯] 

 

উত্তরঃ বুটুথ হলো স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত তারবিহীন একটি প্রযুক্তি।

 

৩২. ইনফ্রারেড কী? [সি. বো. ‘১৯] 

 

উত্তরঃ ইনফ্রায়েড হলো এক ধরনের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব, যার ফ্রিকোয়েন্সি 300 GHz-430 THz পর্যন্ত।

 

৩৩. Hotspot কী?

 

উত্তরঃ পরস্পর সংযুক্ত ইন্টারনেটে প্রবেশ বিন্দু বা এক্সেস পয়েন্টগুলোকে হটস্পট বলে।

 

৩৪. ওয়াই-ফাই কী?

 

উত্তরঃ ওয়াই-ফাই হচ্ছে তারবিহীন এক ধরনের লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।

 

৩৫. পিকোনেট কী? [ঢা. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক গঠন করা হয় তাকে  পিকোনেট বলে। 



কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর উদ্দেশ্য

৩৬. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কী? [ব. বো. ‘১৯]

 

উত্তরঃ ডেটা আদান-প্রদানের জন্য একাধিক কম্পিউটারের সংযোগ ব্যবস্থা ই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।

 

৩৭. CDMA প্রযুক্তি কোথা ব্যবহৃত হয়?

 

উত্তরঃ CDMA প্রযুক্তি আমেরিকা ও এশিয়ার অংশবিশেষে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৩৮. পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক কী? [সি. বো. ‘১৯]

 

উত্তরঃ যে নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ কোনো সার্ভারের সাহায্য ছাড়াই একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক  বলে।

 

৩৯. ‘PAN’-এর পূর্ণরূপ কী?

 

উত্তরঃ ‘PAN’-এর পূর্ণরূপ- Personal Area Network. 

 

৪০. LAN কী? [চ. বো. ১৬]

 

উত্তরঃ LAN (Local Area Network) হচ্ছে এক প্রকার কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যা সীমিত ভৌগোলিক এলাকায় কম্পিউটারসমূহের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন করে।



নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ডিভাইস

৪১. সুইচ কী? [কু. বো. ‘১৬]

 

উত্তরঃ সুইচ হলো এমন একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা সুনির্দিষ্ট কম্পিউটারে ডেটা প্রেরণ করতে পারে। 

 

৪২. হাব কী? [ঢা. বো. ‘১৬; দি. বো. ‘১৭]

 

উত্তরঃ সুইচ হলো এমন একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা তার সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারে ডেটা ব্রডকাস্ট করে।  

 

৪৩. রাউটার কী? 

 

উত্তরঃ রাউটার হলো একই প্রোটকলের একাধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার নেটওয়ার্ক কানেকটিং ডিভাইস।

 

৪৪. গেটওয়ে কী? 

 

উত্তরঃ গেটওয়ে হলো ভিন্ন প্রোটকলের একাধিক স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার নেটওয়ার্ক কানেকটিং ডিভাইস।

 

৪৫. NIC বা Network Interface Card কী? [ঢা. বো. ‘১৭; সি. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে যুক্ত করার জন্য যে ইন্টারফেস কার্ড ব্যবহার করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক ইন্টাফেস কার্ড বা সংক্ষেপে NIC বলে। 

 

৪৬. ‘ব্রিজ’ কী? [ব. বো. ‘১৭; মা, বো. ‘১৬]

 

উত্তরঃ একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে নেটওয়ার্ক এর পরিধি সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের ডিভাইস হচ্ছে ব্রিজ।



নেটওয়ার্ক টপোলজি

৪৭. টপোলজি কী? [রা. বো. ‘১৭]

 

উত্তরঃ কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের সংযোগ ব্যবস্থা বা কৌশলকে টপোলজি বলে।

 

৪৮. বাস টপোলজি কী?

 

উত্তরঃ যে টপোলজিতে সবকয়টি কম্পিউটার একটি মূল তারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে তাকে বাস টপোলজি বলে।

 

৪৯. রিং টপোলজি কী?

 

উত্তরঃ যে টপোলজিতে কম্পিউটারসমূহ একে অপরের সাথে রিং -এর মত চক্রাকারে  সংযুক্ত থাকে তাকে রিং টপোলজি বলে।

 

৫০. স্টার টপোলজি কী?

 

উত্তরঃ যে টপোলজিতে কম্পিউটারসমূহ একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইস এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে তাকে স্টার টপোলজি বলে।

 

৫১. ট্রি টপোলজি কী?

 

উত্তরঃ যে টপোলজিতে কম্পিউটারগুলো পরস্পরের সাথে গাছের শাখা-প্রশাখার মত বিন্যস্ত থাকে তাকে ট্রি টপোলজি বলে। 

 

৫২. মেশ টপোলজি কী?

 

উত্তরঃ যে টপোলজিতে প্রতিটি কম্পিউটার অন্য সকল কম্পিউটারের সাথে সরাসরি পৃথক পৃথক তারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে তাকে মেশ টপোলজি বলে।



ক্লাউড কম্পিউটিং

৫৩. ক্লাউড কম্পিউটিং কী? [য. বো. ১৯, ১৭, ১৬: কু. বো.’ ১৮, দি. বো, ‘১৭; ম. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার একটি পদ্ধতিই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

 

৫৪. পাবলিক ক্লাউড কী? [মা. বো. ‘২৩] 

উত্তরঃ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ক্লাউডকে পাবলিক ক্লাউড বলে।