২য় অধ্যায় খ দাগ

কমিউনিকেশন সিস্টেম

প্রশ্ন-১. কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ব্যান্ডউইডথ বুঝিয়ে লেখো।  [ঢা, দি, য, সি বো. ২০১৮]

 

উত্তরঃ কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটারে শুধু টেক্সট বা অক্ষর স্থানান্তর হয়। সাধারণত টেক্সট আদান-প্রদানে ন্যারো ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়। এর ব্যান্ডউইথ সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ন্যারো ব্যান্ডে প্রতি সেকেন্ডে ৪৫ থেকে ৩০০ বিট পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরিত হয়। ধীরগতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশনে এই ব্যান্ড উপযোগী। একে সাব-ভয়েস ব্যান্ডও বলা হয়।

 

প্রশ্ন-২. 9600 bps স্পিডটি ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ২০১৭]

 

উত্তরঃ প্রতি সেকেন্ডে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে যে পরিমাণ ডাটা প্রবাহিত হয় তাকে ব্যান্ডউইড বলে। ব্যান্ডউইউথ সাধারণত Bit per Second (bps)-এ হিসাব করা হয়। অর্থাৎ 9600 bps মানে হচ্ছে, প্রতি সেকেন্ডে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে 9600 বিট ডেটা স্থানান্তরিত হয়। ভয়েজ ব্যান্ডের ডেটা চলাচলের গতি 9600 পর্যন্ত হয়ে থাকে। টেলিফোন ও প্রিটারের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 



ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড

প্রশ্ন-৩. বিট সিনক্রোনাইজেশন-ব্যাখ্যা কর।

 

উত্তরঃ এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশন হওয়ার সময় অবশ্যই দুই কম্পিউটারের মধ্যে এমন একটি সমঝােতা থাকা দরকার যাতে সিগন্যাল বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে। বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে না পারলে গ্রহীতা কম্পিউটার সেই সিগন্যাল থেকে ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারে না। এ সিগন্যাল পাঠানাের সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় বিট সিনক্রোনাইজেশন। 

 

প্রশ্ন-৪. “ডেটা ব্লক আকারে ট্রান্সমিট হয়” ব্যাখ্যা কর। [ঘ. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা ব্লক বা প্যাকেট আকারে ট্রান্সমিট হয়। এ পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং ডেটাসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে সমান বিরতিতে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। প্রতিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২ টি ক্যারেক্টার থাকে।

 

প্রশ্ন-৫. ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক- ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ২০১৯]

 

উত্তরঃ সিনক্রোনাস  ট্রান্সমিশনে প্রথমে ডেটাকে প্রেরক যন্ত্রের প্রাথমিক স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হয়। এই ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে সমান বিরতিতে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট হয়। ব্লকের হেডারে গ্রাহক যন্ত্রের ঠিকানা ও ও ফুটারে ত্রুটি নির্ণয় ও সংশোধন  সহায়ক তথ্য থাকে। তাই এই ট্রান্সমিশনের গতি ও দক্ষতা তুলনামূলক বেশি। সুতরাং বলা যায়, ডেটা ট্রান্সমিশনে সিনক্রোনাস সুবিধাজনক।

 

প্রশ্ন-৬.সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল কেন? [রা. বো. ‘১৭]

 

উত্তরঃ সার্কিটের খরচ বেশি হওয়ায় সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা অ্যাসিনক্রোনাসের তুলনায় অনেক বেশি। এখানে ট্রান্সমিশন অনবরত চলতে থাকে বলে ট্রান্সমিশনের গতি বেশি। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় তুলনামূলকভাবে কম লাগে। এ পদ্ধতিতে প্রেরকের সাথে একটি প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন। কারণ এ ট্রান্সমিশনে প্রেরক স্টেশনে প্রথম ডেটাকে কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষণ করা হয়। যার দরুন এ প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি খরচ পড়ে। এ জন্যই সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল।

 

প্রশ্ন-৭. ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিট পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর [দি. বো. ‘১৭]

 

উত্তরঃ ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিট পদ্ধতি হলো অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন। এই পদ্ধতির প্রতিটি ক্যারেক্টার এর শুরুতে Start বিট ও শেষে Stop বিটের প্রয়োজন হয়। এই পদ্ধতির ট্রান্সমিশন দক্ষতা কম এবং সময় অনেক বেশি লাগে। এই পদ্ধতির ইন্সটলেশন ব্যয় অনেক কম।

 

প্রশ্ন-৮. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগার কারণ বুঝিয়ে লেখ। [চ. বো. ‘১৭: রা. বো. ‘২৩]

উত্তরঃ অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে। কারণ এ পদ্ধতিতে প্রেরক থেকে ডেটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ডেটা ট্রান্সমিট হয়। অল্প পরিমাণ ডেটা ট্রান্সমিটের জন্য অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এ ট্রান্সমিশন গতি ও দক্ষতা অনেক কম থাকায় ডেটা পারাপারে সময় বেশি লাগে।



ডেটা ট্রান্সমিশন মোড

প্রশ্ন-৯. ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর। [স. বো. ‘১৮]


উত্তরঃ ডেটা কমিউনিকেশনের সময় ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডেটা চলাচলের দিকের উপর নির্ভর করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- সিমপ্লেক্স বা একমুখী মোড এবং হাফ-ডুপ্লেক্স বা অর্থ দ্বিমুখী মোড এবং ফুল ডুপ্লেক্স বা পূর্ণ দ্বিমুখী মোড। আবার প্রাপকের সংখ্যা এবং ডেটা গ্রহণের অধিকারের উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোডকে আরও তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা: ইউনিকাস্ট মোড, ব্রডকাস্ট মোড এবং মাল্টিকাস্ট মোড।


প্রশ্ন-১০. ‘ডেটা আদান ও প্রদান একই সময়ে সম্ভব’-ব্যাখ্যা করো। [কু. বো. ২০১৭]


উত্তরঃ ফুল-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একইসময়ে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে। যে কোনো প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে। চিত্রের ফুল-ডুপ্লেক্সের ক্ষেত্রে, “ক” যখন “খ” এর দিকে ডেটা প্রেরণ করবে “খ” ও তখন “ক” এর দিকে ডেটা প্রেরণ করতে পারবে। উদাহরণ- টেলিফোন, মোবাইল।


প্রশ্ন-১১. কোন ট্রান্সমিশনে একই সঙ্গে উভয় দিকে ডেটা আদানপ্রদান করা যায়? [য. বো. ‘১৬: চ. বো. ‘২৩]


উত্তরঃ ফুল-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশনে একই সঙ্গে উভয় দিকে ডেটা আদানপ্রদান করা যায়। ফুল-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন সিস্টেমে উভয় দিক হতে ডেটা প্রেরণের ব্যবস্থা থাকে। যেকোনো প্রান্ত প্রয়োজনে ডেটা প্রেরণ করার সময় ডেটা গ্রহণ অথবা ডেটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে। যেমন- টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি।


প্রশ্ন-১২. মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর। [ঢা. বো. ১৬; য. বো. ‘১৭; দি. বো. ‘১৯]


উত্তরঃ মোবাইল ফোনে ফুল ডুপ্লেক্স ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহৃত হয়। যে ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডেটা উভয় দিকে একই সময়ে প্রবাহিত হতে পারে, তাকে ফুল ডুপ্লেক্স মোড বলে। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে একই সময়ে যেকোনো প্রান্ত থেকে প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই একসঙ্গে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।


প্রশ্ন-১৩. ওয়াকি-টকিতে যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয় কেন? [ব. বো. ‘১৭]


উত্তরঃ ওয়াকি-টকিতে হাফ-ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহৃত হয় তাই এটিতে যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়। হাফ ডুপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোডে ডেটা গ্রহণ ও প্রেরণ উভয় সম্ভব। তবে একই সাথে নয়। কারণ কোনো মোড একই সময়ে ডেটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে না। যে মোডটি ডেটা প্রেরণ করবে সে প্রেরণ শেষে ডেটা গ্রহণ করবে, আবার যে মোডটি ডেটা গ্রহণ করবে সে গ্রহণ শেষে ডেটা প্রেরণ করতে পারবে। কিন্তু এতে একই সাথে ডেটা গ্রহণ ও প্রেরণ করার সুবিধা থাকে না। তাই ওয়াকি-টকিতে যুগপৎ কথা বলা ও শোনা সম্ভব নয়।



তার মাধ্যম

প্রশ্ন-১৪. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলতে কী বোঝায়।

 

উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বলতে কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবলকে বোঝায়, যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। হাজার হাজার কাচের তন্তু ব্যবহার করে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল তৈরি করা হয়। এ ক্যাবলের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সমিশন হার 100mbps থেকে 2gbple বিপুল পরিমাণ ডেটা পরিবহণের জন্য ২০০৬ সালের মে মাসে বাংলাদেশ এ ব্যবস্থার সাথে যুক্ত হয়েছে।

 

প্রশ্ন-১৫. ডেটা চলাচলের দ্রুততম মাধ্যমটির বর্ণনা দাও। [চ. বো. ১৭]

 

উত্তরঃ ডেটা চলাচলের দ্রুততম মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার। কারণ এ মাধ্যমটির ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি। অপটিক্যাল ফাইবার কাচের তন্তুর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল, যার মাধ্যমে আলোর গতিতে ডেটা আদানপ্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে ডেটা আলোক তরঙ্গে পরিণত হয়। যা কাচ নলের মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যায়। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মধ্য দিয়ে ডেটা স্থানান্তরের জন্য লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। ফলে এর মাধ্যমে অনেক দ্রুতগতিতে ডেটা স্থানান্তরিত হয়। তাই বলা যায়, অপটিক্যাল ফাইবার দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করে।

 

প্রশ্ন-১৬. সর্বোচ্চ গতির মাধ্যমটি ব্যাখ্যা কর। [ম. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ সর্বোচ্চ গতির মাধ্যমটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল মাধ্যম। এই ক্যাবলটি সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এবং আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটাকে উৎস থেকে গন্তব্যে প্রেরণ করতে পারে। এটি ব্যবহারের বড় সুবিধা হলো এটি আলোর গতিতে ডেটা স্থানান্তর করে এবং এতে Electro Magnetic Interference থাকে না। ফলে সিগন্যাল অপরিবর্তিত থাকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে গন্তব্যে পৌঁছে। ফাইবার অপটিক ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যান্ডউইথ 100 Mbps থেকে 2Gbps পর্যন্ত হয়।

 

প্রশ্ন-১৭. অপটিক্যাল ফাইবার দ্রুতগতিতে ডেটা আদানপ্রদান করে-বুঝিয়ে বল। [ঢা. বো, কু. বো. ১৬]

 

উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবার কাঁচের তন্ত্রর তৈরি এক ধরনের ক্যাবল, যার মাধ্যমে আলোর গতিতে তথ্য আদানপ্রদান হয়। এক্ষেত্রে ডেটা আলোক তরঙ্গে পরিণত হয়। যা কাচ নলের মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যায়। অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা স্থানান্তরের জন্য লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। লেজার রশ্মি অতি দ্রুততম রশ্মি। বর্তমানে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সমিশন তার 100 থেকে 2Gbps। তাই বলা যায়, অপটিক্যাল ফাইবার দ্রুতগতিতে ডেটা আদানপ্রদান করে।

 

প্রশ্ন-১৮. আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি ব্যাখ্যা কর। [কু. বো. ১৬]

 

উত্তরঃ আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার। অপটিক্যাল ফাইবার -এ আলোকের পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে। এতে গিগাবাইট বা তার চেয়েও বেশি গতিতে ডেটা চলাচল করে। এ নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন হিসেবে অপটিক ক্যাবল অধিক ব্যবহৃত হয়। 

 

প্রশ্ন-১৯. “ডেটা ট্রান্সমিশনে আলোকরশ্মি পরিবাহী তার উত্তম”। -ব্যাখ্যা কর। [চ. বো. ১৬]

 

উত্তরঃ ডেটা ট্রান্সমিশনে আলোকরশ্মি পরিবাহী তার হিসেবে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল উত্তম। কারণ এই ক্যাবলের মধ্য দিয়ে আলোর গতিতে ডেটা আদানপ্রদান করা হয়। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সফার রেট 1-2Gbps বা তার বেশি হতে পারে। কম্পিউটার বা অন্যান্য ব্যবস্থায় সৃষ্ট অ্যানালগ বা বৈদ্যুতিক সংকেতকে প্রেরক যন্ত্রের সাহায্যে প্রয়োজনীয় মডুলেশনের মাধ্যমে এ ক্যাবলের পরিবহণ উপযোগী আলোক তরঙ্গে পরিণত করে ক্যাবলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হয়। ফলে সঠিকভাবে ডেটা স্থানান্তর বা চলাচলের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক অবস্থা কোনো বাধা প্রধান করতে পারে না। তাই ডেটা ট্রান্সমিশন বা স্থানান্তরে ফাইবার অপটিক অলোকরশ্মি পরিবাহী তার উত্তম।

 

প্রশ্ন-২০. অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যান্ডউইথ বুঝিয়ে লেখ। [সি. বো. ‘১৭]

 

উত্তরঃ অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে একনস্থান থেকে অন্যস্থানে কিংবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয়, তাকে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যান্ডউইথ বলে সাধারণত bit per second (bps) দ্বারা ব্যান্ডউইথ পরিমাপ করা হয়। অপটিক্যাল ফাইবার দ্রুত ডেটা আদানপ্রদানে সক্ষম। ডেটা চলাচলের গতি 100 Mbps-2 Gbps (giga bit per second) পর্যন্ত হয়ে থাকে।

 

প্রশ্ন-২১. চৌম্বক প্রভাবমুক্ত ক্যাবলটি বুঝিয়ে লেখো। [সি. বো. ২০১৯]

 

উত্তরঃ চৌম্বক প্রভাবমুক্ত ক্যাবলটি হলো ফাইবার অপটিক ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে কেন্দ্রের মূল তারটি তৈরি হয় সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে। কাঁচের মধ্য দিয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে ইলেকট্রিক্যাল সিগনালের পরিবর্তে লাইট সিগনাল ট্রান্সমিট করে। লাইট সিগনাল ট্রান্সমিট এর বড় সুবিধা হলো এটি চৌম্বকীয় প্রভাবমুক্ত। সুতরাং ফাইবার অপটিক ক্যাবল চৌম্বক প্রভাবমুক্ত।

 

প্রশ্ন-২২. আলোক সিগন্যালে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি ব্যাখ্যা করো। [য. বো. ২০১৯]

 

উত্তরঃ আলোক সিগন্যালে ডেটা স্থানান্তরের মাধ্যমটি হচ্ছে ফাইবার অপটিক ক্যাবল। অপটিক্যাল ফাইবারের তিনটি অংশ রয়েছে। যথা; কোর, ক্ল্যাডিং ও জ্যাকেট। কোরের মধ্য দিয়ে ডেটা প্রবাহিত হয়। কোর কাঁচ তন্তু দ্বারা গঠিত তাই এর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রিক সিগনাল আলোক সিগনালে রূপান্তরিত হয়ে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়।

 

প্রশ্ন-২৩. নন মেটালিক ক্যাবল মাধ্যমটি ব্যাখ্যা করো। [চ. বো, ২০১৯]

 

উত্তরঃ নন মেটালিক ক্যাবল মাধ্যমটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল। ফাইবার অপটিক ক্যাবলে কেন্দ্রের মূল তারটি তৈরি হয় সিলিকা, কাঁচ অথবা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে। কাঁচকে মিডিয়া হিসেবে ব্যবহারের বড় সুবিধা হলো এতে ইএমএফ(EMF)এর প্রভাব নেই। এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগনালের পরিবর্তে লাইট সিগনাল ট্রান্সমিট করে। এতে আলোকের পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে।

 

প্রশ্ন-২৪. ডেটা পরিবহণে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ কেন? [ব. বো.-১৬]

 

উত্তরঃ ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তিন স্তরবিশিষ্ট গঠনের জন্য এটি শক্তি ক্ষয় করে কম এবং বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে, তাই ডেটা পরিবহণে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ। অপটিক্যাল ফাইবার বা ফাইবার অপটিক ক্যাবল হলো ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের আঁশ যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহণে সক্ষম। তিন স্তরবিশিষ্ট ফাইবার তৈরির অন্তরক পদার্থ হিসেবে সিলিকা এবং মাল্টি কমপোনেন্ট কাঁচ বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়। এসব অন্তরক পদার্থের গুণগত বৈশিষ্ট হলো অতি স্বচ্ছতা, রাসায়নিক সুস্থিরতা বা নিষ্ক্রিয়তা। ফলে ফাইবার অপটিক ডেটা পরিবহণে শক্তি ক্ষয় কম হয় এবং এসব ডেটা বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব থেকে মুক্ত থকে। ফলে সঠিকভাবে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক অবস্থা কোনো বাধা প্রদান করতে পারে না। তাই ডেটা পরিবহণে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত।

 

প্রশ্ন-২৫. “অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয়”-ব্যাখ্যা কর। [সি. বো. ‘১৬; দি. বো. ‘১৭] 

 

উত্তরঃ নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলতে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সংযোগ লাইনকে বোঝায়। আর অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল হলো ডাই-ইলেকট্রিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের আশ যা আলো নিবন্ধকরণ ও পরিবহণে সক্ষম। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মধ্যে দিয়ে আলোর গতিতে ডেটা আদান- প্রদান করা হয়। উচ্চগতিসম্পন্ন ব্যান্ডউইথ বিদ্যুৎ ও চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রবাহিত না হওয়ায় ডেটা অপরিবর্তিত থাকে। তাই অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয়।

 

প্রশ্ন-২৬. ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইএমআই (EMI) মুক্ত কেন? [রা. বো. ‘১৭]

উত্তরঃ ফাইবার অপটিক ক্যাবল মিডিয়া হিসেবে কাচ ব্যবহৃত হয় বলে এটি ইএমআই (EMI) মুক্ত। ফাইবার অপটিক ক্যাবল হলো এক ধরনের আলো পরিবাহী তার। এই মাধ্যমটি তার মাধ্যমের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। কারণ ফাইবার অপটিক ক্যবলের কেন্দ্রে মূল তারটিতে বৈদ্যুতিক অন্তরক বা ডাই- ইলেকট্রিক পদার্থ, যেমন- সিলিকা, কাঁচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। ফলে কাঁচের মধ্য দিয়ে আলোক সংকেতরূপে ডেটা প্রবাহিত হয়। আর এসব সুবিধার জন্যই ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইএমআই (EMI) মুক্ত



তারবিহীন মাধ্যম

প্রশ্ন-২৭. স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ ব্যাখ্যা করো। [রা. বো. ২০১৯]

 

উত্তরঃ স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ওয়েভ হলো মাইক্রোওয়েভ। 300 MHz থেকে 300 GHz ফ্রিকুয়েন্সিতে পাঠানো বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের নাম মাইক্রোওয়েভ। এই ফ্রিকুয়েন্সিতে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব ছোট হওয়ায় একে মাইক্রোওয়েভ নাম দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোওয়েভ একমুখী এবং ছোট আকারের কেন্দ্র অভিমুখে সিগনাল পাঠানো যায়। এজন্য প্রেরক ও গ্রাহক অ্যান্টিনাকে পরস্পরমুখী করে সাজাতে হয়। এতে সুবিধা হলো এক জোড়া গ্রাহক ও প্রেরক অ্যান্টেনা অন্য অ্যান্টেনার সাথে সংঘর্ষ না ঘটিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

 

প্রশ্ন-২৮. “স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব”- ব্যাখ্যা করো। [সি. বো. ২০১৭]

 

উত্তরঃ ব্লুটুথ এর মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বে বিনা খরচে ডেটা স্থানান্তর সম্ভব। ব্লুটুথ হচ্ছে স্বল্প দূরত্বের (১০ মিটারের কাছাকাছি) ভিতর বিনা খরচে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য বহুল প্রচলিত ওয়্যারলেস প্রযুক্তি। ব্লুটুথের সাহায্যে বিনা খরচে স্বল্প দূরত্বে থাকা আধুনিক প্রায় সকল ডিভাইস নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে বিধায় তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক প্রটোকল বলা হয়।



কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর উদ্দেশ্য

প্রশ্ন-২৯. কম্পিউটার নেটওয়ার্কি বলতে কী বোঝ?

 

উত্তরঃ আমরা সবাই কম-বেশি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক শব্দটির সাথে পরিচিত। জালের মতো বিস্তৃতি বোঝাতে নেটওয়ার্ক শব্দ ব্যবহৃত হয়। ব্যবসা, চাকুরী, রাজনীতি ইত্যাদিতে নিজেদের স্বার্থে স্ব স্ব অধিক্ষেত্রের মধ্যে যোগাযোগ কিংবা পারস্পরিক সংযোগ ব্যবস্থা দৃঢ়করণের ক্ষেত্রে। নেটওয়ার্ক সৃষ্টির প্রয়োজন হয়। ঠিক একইভাবে দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলা হয়। এই ধরনের সংযোগ ব্যবস্থার জন্য কিছু বিশেষ ধরনের মিডিয়া এবং নেটওয়ার্ক-ডিভাইস প্রয়োজন হয়।

 

প্রশ্ন-৩০. কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর উদ্দেশ্যসমূহ ব্যাখ্যা কর। [সি. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটারসমূহের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার রিসোর্স শেয়ার করা এবং এক সাথে কাজ করা। নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত কোনো কম্পিউটারের জন্য ‘রিসোর্স’ হচ্ছে অন্য কম্পিউটারের এমন কোনো উপাদান বা সুবিধা যা তার কাছে নেই। যেকোনো কম্পিউটারের তথ্য কিংবা উপাদানগত সীমাবদ্ধতা এড়ানোর জন্য রিসোর্স শেয়ার করে কাজের সূক্ষ্মতা, গতি এবং ক্ষেত্র বা পরিধি অনেকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া যায়। তাই কম্পিউটার নেটওয়ার্কিংয়ের মূল উদ্দেশ্যই হলো, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে তথ্য এবং রিসোর্সসমূহ ব্যাপক সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে সহজলভ্য করা।

 

প্রশ্ন-৩১. ‘হাবের চেয়ে সুইচ উত্তম’-ব্যাখ্যা কর। [কু. বো-১৯]

 

অথবা

 

“বর্তমানে নেটওয়ার্ক তৈরিতে হাবের পরিবর্তে সুইচ ব্যবহার করা হয়।”- ব্যাখ্যা কর। [ম. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ হাব ও সুইচ উভয় নেটওয়ার্ক ডিভাইস। তবে সুইচ প্রেরক প্রান্ত ডেটাপ্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দিষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু হাব ঐ ডেটা সিগন্যাল প্রাপক কম্পিউটারের প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশনে পাঠিয়ে দেয়। ফলে নেটওয়ার্কভুক্ত সকল কম্পিউটারই উক্ত ডেটা গ্রহণ করতে পারে, এতে সময় বেশি লাগে। অর্থাৎ সুইচের থেকে হাব ডেটা প্রেরণে ধীর গতিসম্পন্ন। আবার হাব সিগন্যাল ফিল্টার করতে পারে না। নেটওয়ার্কের ডেটা গোপনীয়তা রক্ষায় সুইচ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই হাবের চেয়ে সুইচ উত্তম। 

 

প্রশ্ন-৩২. LAN কে সংযুক্ত করার একটি ডিভাইসের পরিচয় দাও। 

 

উত্তরঃ LAN কে সংযুক্ত করার একটি উল্লেখযোগ্য ডিভাইস হলো মডেম। মডেম একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস যা তথ্যকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে পৌঁছে দেয়। মডেমে একটি Modulator এবং একটি Demodulator থাকে। Modulator এর M এবং Demodulator এর Dem এ দুটি শব্দাংশ নিয়ে Modem শব্দটি গঠিত। অর্থৎ মডেম শব্দটি মডুলেটর-ডিমডুলেটরের (Modulator-Demodulator) সংক্ষিপ্ত রূপ। মডুলেটর ডিজিটাল সংকেতকে অ্যানালগ এবং ডিমডুলেটর অ্যানালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তর করে।

 

প্রশ্ন-৩৩. মালিকানার ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের ধরন ব্যাখ্যা কর। [ঢা . ব্যে. ‘২৩]

 

উত্তরঃ মালিকানা অনুযায়ী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দুই ধরনের। যথা- প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ও পাবলিক নেটওয়ার্ক।

 

প্রাইভেট নেটওয়ার্কঃ এই ধরনের নেটওয়ার্ক সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মালিকানাধীন হয়। অন্য যে কেউ চাইলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে না। এই ধরনের নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি অনেক ভালো হয়।

 

পাবলিক নেটওয়ার্কঃ এই ধরনের নেটওয়ার্ক সাধারণত ব্যক্তির মালিকানাধীন হয় না। তবে এটি কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। অন্য যে কেউ চাইলেই এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে। এজন্য ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করতে হয়। যেমন- টেলিফোন নেটওয়ার্ক সিস্টেম।

 

প্রশ্ন-৩৪. ভিন্ন প্রটোকলের নেটওয়ার্ককে যুক্ত করতে কোন ডিভাইস প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর। [ম. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ বিভিন্ন ধরনের প্রটোকলের নেটওয়ার্কসমূহকে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসটি হলো গেটওয়ে। হাব, সুইচ, রাউটার ইত্যাদি ডিভাইস প্রটোকল ট্রান্সলেশনের সুবিধা দেয় না, কিন্তু গেটওয়ে প্রটোকল ট্রান্সলেশনের সুবিধা দেয়। ভিন্ন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হওয়ার সময় এটি প্রটোকল ট্রান্সলেশনের কাজ করে থাকে। এটি PAT (Protocol Address Translation) ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে থাকে বলে একে প্রটোকল কনভার্টারও বলা হয়।

প্রশ্ন-৩৫. IEEE 802.16 স্ট্যান্ডার্ডের প্রযুক্তিটি বুঝিয়ে লেখ। [সি. বো. ১৯]

 

উত্তরঃ IEEE 802.16 স্ট্যান্ডর্ডের প্রযুক্তিটি হলো WiMax। এর পূর্ণরূপ হলো Worldwide Interoperability for Microwave Access যাকে ওয়্যারলেস মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (WMAN) প্রটোকল বলা হয়। এতে ফিক্সড মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়। WiMax সিস্টেমের দুটি অংশ থাকে। একটি WiMax বেস স্টেশন যা ইনডোর আউটডোর টাওয়ার নিয়ে গঠিত। অন্যটি এন্টেনাসহ WiMax রিসিভার, যা কোনো কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সংযুক্ত থাকে।

 

প্রশ্ন-৩৬. ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়-বুঝিয়ে লেখ। [স. বো. ‘১৮]

 

উত্তরঃ ৩য় প্রজন্মের মোবাইলের সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। কেননা, ৩য় প্রজন্ম বা 3G প্রযুক্তির ডিভাইসে ব্যবহৃত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে

প্রবেশের জন্য মান নির্ধারণ করে। সাধারণভাবে 3G প্রযুক্তি বলতে নেটওয়ার্কে প্রবেশের মান এবং মোবাইল ডিভাইসের গতিকে বোঝায়। এখানে উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করা হয়। ব্রডব্যান্ডে বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ এবং অধিক ডেটা বহনের ক্ষমতা থকে, যার গতি 1Mbps থেকে অনেক উচ্চগতি পর্যন্ত হয়। এ কারণে ৩য় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সিস্টেমে ব্রডব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।



নেটওয়ার্ক টপোলজি

প্রশ্ন-৩৭. যে টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত তা ব্যাখ্যা করো। [রা. বো ২০১৯]

অথবা, 

রিং টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার সংযুক্ত করলে কোন টপোলজি হয়-ব্যাখ্যা কর। [কু. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ মেশ টপোলজিতে সবগুলো কম্পিউটারের সাথে সবগুলো কম্পিউটার যুক্ত থাকে। মেশ টপোলজি ব্যয় বহুল কিন্তু অত্যন্ত কার্যকরী। এ টপোলজিতে একটি কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলেও টপোলজিতে কোনো প্রভাব পড়ে না। সরাসরি সকল কম্পিউটার যুক্ত থাকায় কোনো ট্রাফিক সৃষ্টি হয় না। তবে এটির ইন্সটলেশন এবং কনফিগারেশন বেশ জটিল।

 

প্রশ্ন-৩৮. কোন টপোলজিতে নোডসমূহ পরস্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে? ব্যাখ্যা করো। [ব. বো ২০১৯]

 

উত্তরঃ মেশ টপোলজিতে নোডসমূহ পরম্পর তুলনামূলকভাবে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। মেশ টপোলজির ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের অধীনস্ত প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এতে প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশনের মধ্যে আলাদা আলাদা লিংক বা বাস থাকে। তাই প্রতিটি ওয়ার্কস্টেশন সরাসরি যেকোনো ওয়ার্কস্টেশনের সাথে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে।

 

প্রশ্ন-৩৯. মেশ টপোলজি কেন জটিল? ব্যাখ্যা কর। [মা. বো. ‘২৩] 

উত্তরঃ মেশ টপোলজি নেটওয়ার্কের প্রত্যেক কম্পিউটার অন্য সব কম্পিউটারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে। সংযোগ সংখ্যা বেশি হওয়ায় বড় ধরনের নেটওয়ার্কে মেশ টপোলজি গড়ে তোলা কষ্টকর। মেশ টপোলজি ইনস্টল ও ম্যানেজ করা তুলনামূলক কঠিন। নেটওয়ার্কের নোড বাড়ার সাথে সাথে সংযোগ সংখ্যা বেড়ে যায়। তাই মেশ টপোলজি তুলনামূলক জটিল।



ক্লাউড কম্পিউটিং

৪০. ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাখ্যা কর। 

 

উত্তরঃ ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে একটি ইন্টারনেট সেবা, যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কম্পিউটিং এর চাহিদাকে পূরণ করে। ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা সহজতরভাবে কম খরচে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন অন-লাইন কম্পিউটিং সেবা প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন পুরানো প্রযুক্তিকে একটি বিশেষভাবে বাজারজাত করা হয় বা ক্রেতার কাছে পৌছে দেওয়া হয়। ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার মূলে রয়েছে কম্পিউটার রিসোর্স শেয়ারিং।

 

প্রশ্ন-৪১. নিরাপদ ডেটা সংরক্ষণে ক্লাউড কম্পিউটিং উত্তম- ব্যাখ্যা করো। [দি. বো. ২০১৮]

 

উত্তরঃ ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিষেবা। এখানে “ক্লাউড” বলতে দূরবর্তী কোনো শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। ক্লাউড সার্ভিসে হার্ডওয়‍্যার ভাড়া করে প্রয়োজনীয় ডেটা সংরক্ষণ করা যায়। ফলে নিজের ডিভাইস হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে গেলেও উক্ত ডেটা ফিরে পাওয়া যায়। ক্লাউড কম্পিউটিং এর – রিসোর্স অধিক নিরাপদ হওয়ায় এটি অধিক নির্ভরযোগ্য।

 

প্রশ্ন-৪২. ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে নিরাপত্তা তুলনামূলকভাবে কম- ব্যাখ্যা

করো। [ব.বে ২০১৯]

অথবা, 

 

“ক্লাউড কম্পিউটারের তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা কম।” -ব্যাখ্যা কর। [ব. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিষেবা। এখানে “ক্লাউড” বলতে দূরবর্তী কোনো শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। যেহেতু তথ্য দূরবর্তী কোনো শক্তিশালী সার্ভারে থাকে অর্থাৎ নিজের কাছে থাকে না তাই এতে নিরাপত্তা কম।

 

প্রশ্ন-৪৩. স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়‍্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় কিভাবে তা ব্যাখ্যা করো। [রা. বো, কু. বো, চ. বো, ব. বো. ২০১৮]

 

উত্তরঃ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়‍্যার আপডেট ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাহায্যে। ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিষেবা। এখানে ‘ক্লাউড’ বলতে দূরবর্তী কোনো শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে ‘ক্লাউড’ প্রদত্ত সেবাসমূহ ভোগ করা যায়। ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়‍্যার, সফটওয়‍্যার (অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ, প্রোগ্রাম এক্সিকিউশন পরিবেশ ইত্যাদি) ভাড়া দিয়ে থাকে যাতে ব্যবহারকারী সহজে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ ও তা পরিচালনা করতে পারে।

 

প্রশ্ন-৪৪. ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধা লেখ। [দি. বো. ‘২৩] 

 

উত্তরঃ ক্লাউড কম্পিউটিং আজকের দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর সুবিধা উল্লেখ করা হলো-

 

• আইবিএম-এর ক্লাউড কম্পিউটিং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ডেটা সেন্টার ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে।

• আমাজানের ইলাস্টিক ক্লাউড কম্পিউটিং সর্বপ্রথম রিমোট ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা প্রদান করে।

• ক্লাউড কম্পিউটিং নির্ভর ই-গর্ভনেন্স পদ্ধতি রির্সোস শেয়ারিংকে গতিশীল করে।

• দূরশিক্ষণের ক্ষেত্রে ক্লাউড কম্পিউটিং পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে সহযোগিতা করে।

 

প্রশ্ন-৪৫ . ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সার্ভিস মডেল ব্যাখ্যা কর। [সি. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে কিছু গ্লোবাল সুবিধা ভোগ করার যে পদ্ধতি তাই হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং। এটি একটি বিশেষ পরিষেবা। এখানে “ক্লাউড” বলতে দূরবর্তী কোনো শক্তিশালী সার্ভার কম্পিউটারকে বোঝানো হয়। ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা গ্রহণ করার কারণ- অপারেটিং খরচ তুলনামূলক কম থাকে, নিজস্ব হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না, যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময়ে সার্বক্ষণিক ব্যবহার করা যায়।