৩য় অধ্যায় ২ দাগ

সংখ্যা পদ্ধতি

প্রশ্ন ১। সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস এবং সভ্যতার ইতিহাস। খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত- ব্যাখ্যা কর। [সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম]

 

উত্তরঃ আদিম মানুষ যখন শিকারী হিসেবে বনেজঙ্গলে ঘুরে বেড়াতো তখন হিসাব রাখা বা গণনার সেরকম প্রয়োজন ছিল না। যখন তারা কৃষিকাজ ও গবাদি পশু পালন করতে শুরু করেছে, শষ্যক্ষেত্রে চাষ আবাদ করেছে, গ্রাম-নগর-বন্দর গড়ে তুলেছে, রাজস্ব আদায় করা শুরু করেছে তখন থেকে গণনার প্রয়োজন শুরু হয়েছে। তাই সংখ্যা পদ্ধতির ইতিহাস এবং সভ্যতার ইতিহাস খুবই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

 

প্রশ্ন ২। “কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষা বাইনারি”- ব্যাখ্যা কর। [ঢাকা সিটি কলেজ]

 

উত্তরঃ কম্পিউটার কাজ করে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের সাহায্যে। কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলি সংখ্যা নির্ভর, বাইনারি সংখ্যার প্রতীক মাত্র দুটি হওয়ার কারণে এবং বাইনারি এ্যালজেবরা দ্বারা সকল দশমিক সংখ্যার গাণিতিক কাজকর্ম করা সম্ভব বিধায় কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষা হচ্ছে বাইনারি।

 

প্রশ্ন ৩। প্রক্রিয়াকরণের কাজে কম্পিউটার কেন 1 ও 0 ব্যবহার করে। ব্যাখ্যা কর। [অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়, বরিশাল]

 

উত্তরঃ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ব্যবহৃত সার্কিটসমূহ মূলত সুইচ অন বা অফ অবস্থাকে সংখ্যা দ্বারা উপস্থাপন করে তাদের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। বাইনারি পদ্ধতির দুটি প্রতীক  1 ও 0 যথাক্রমে বিদ্যুতের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি কিংবা হাই বা লো ভোল্টেজ এ দুই পৃথক অবস্থাকে কার্যকরভাবে প্রকাশ করতে সক্ষম। সত্য ও মিথ্যাকে বাইনারি অংক 1 ও 0 দিয়ে পরিবর্তন করার মাধ্যমে কম্পিউটারে অঙ্ক কষার সমস্ত গাণিতিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে ফলে আধুনিক কম্পিউটারের যাবতীয় অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ডের জন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিটি একটি আদর্শ সংখ্যা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে থাকে।

 

প্রশ্ন ৪। (267)10 সংখ্যাকে কম্পিউটার সরাসরি গ্রহণ করে না- ব্যাখ্যা কর। [চ. বো. ১৬]

 

উত্তরঃ (267)10 একটি দশমিক পদ্ধতির সংখ্যা যা কম্পিউটার সরাসরি গ্রহণ করেনা। কারণ কম্পিউটারে ব্যবহত সংখ্যা পদ্ধতি হলো বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি অর্থাৎ কম্পিউটার শুধুমাত্র ০ ও ১ সংখ্যা দুটি বুঝতে পারে।

 

প্রশ্ন ৫। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে কোনো একটি সংখ্যার মান বের করতে কী প্রয়োজন? বুঝিয়ে লেখ। [কু. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন সংখ্যার মান বের করতে তিনটি বিষয় জানার প্রয়োজন।

 

i. সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর নিজস্ব মান।

 

ii. সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি।

 

ii. সংখ্যাটিতে ব্যবহৃত অঙ্কগুলোর অবস্থান বা স্থানীয় মান।

 

প্রশ্ন ৬। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি কেন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি- ব্যাখ্যা কর। [সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, খুলনা।]

 

উত্তরঃ পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে, প্রতিটি অঙ্কের মান তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ, কোনো সংখ্যায় একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অবস্থান পরিবর্তন হলে তার মানও পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে, ৩৩৩ এর প্রথম ৩ এর মান ৩০০, দ্বিতীয় ৩ এর মান ৩০ এবং তৃতীয় ৩ এর মান ৩। এখানে, প্রতিটি ৩ এর অবস্থান ভিন্ন হওয়ায় তাদের মানও ভিন্ন। তাই দশমিক সংখ্যা হচ্ছে পজিশনাল সংখ্যা।

প্রশ্ন ৭। (11)₁₀ সংখ্যাটিকে পজিশনাল সংখ্যা বলা হয় কেন? [য,বো ২০১৭]

উত্তরঃ (11)₁₀ সংখ্যাটিকে পজিশনাল সংখ্যা বলা হয় কারণ এখানে প্রতিটি অঙ্কের মান তার অবস্থান বা পজিশনের ওপর নির্ভর করে। (11)₁₀ সংখ্যায় ডানদিকে থাকা 1 এর মান হলো 1×100 = 1 এবং বামদিকে থাকা 1 এর মান হলো 1×101=10। দুইটি 1-ই দেখতে এক হলেও অবস্থান অনুযায়ী তাদের মান আলাদা, আর এই বৈশিষ্ট্যই একে পজিশনাল সংখ্যা বানায়।

প্রশ্ন ৮। নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বড় সংখ্যা প্রকাশের জন্য উপযোগী নয় কেন? [ম,বো ২০২৩]

উত্তরঃ নন পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রতিটি অঙ্কের মান তার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে না। তাই একই প্রতীক বার বার ব্যবহার করতে হয় বড় সংখ্যা প্রকাশের জন্য। এতে সংখ্যা দ্রুত দীর্ঘ ও জটিল হয়ে যায়। ফলে বড় সংখ্যা সংরক্ষণ ও গণনায় অসুবিধা হয় এবং পজিশনাল পদ্ধতির তুলনায় কম কার্যকর হয়। 

প্রশ্ন ৯। 7D কোন ধরনের সংখ্যা? ব্যাখ্যা কর। [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, দিনাজপুর।]

 

উত্তরঃ 7D হলো হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা। কারণ সংখ্যাটিতে ২টি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছে, যথা 7 এবং D। চার প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে কেবল হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতেই এরূপ অঙ্ক ও বর্ণটি ব্যবহৃত হয়। হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে দশমিক পদ্ধতির ১০টি অঙ্ক এবং ইংরেজি বড় হাতের প্রথম ৬টি বর্ণ ব্যবহার করা হয়। তাই এটি স্পষ্ট যে, 7D হেক্সাডেসি মেল পদ্ধতির সংখ্যা।

 

প্রশ্ন ১০। 5D কোন ধরনের সংখ্যা? ব্যাখ্যা কর। [কু,বো ২০১৭]


উত্তরঃ 5D হলো হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা। কারণ সংখ্যাটিতে ২টি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছে, যথা 5 এবং D। চার প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে কেবল হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতেই এরূপ অঙ্ক ও বর্ণটি ব্যবহৃত হয়। হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে দশমিক পদ্ধতির ১০টি অঙ্ক এবং ইংরেজি বড় হাতের প্রথম ৬টি বর্ণ ব্যবহার করা হয়। তাই এটি স্পষ্ট যে, 5D হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতির সংখ্যা।

 

প্রশ্ন ১১। (258)8 সংখ্যাটি সঠিক কি-না- ব্যাখ্যা কর। [নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ।]

 

উত্তরঃ (258)8 সংখ্যাটি সঠিক নয়। কারণ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতিতে অঙ্কগুলো হলো 0. 1. 2. 3. 4. 5. 6 ও 7। মোট ৮টি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। অকটাল সংখ্যার বেজ ৮। অকটাল পদ্ধতিতে যেকোনো সংখ্যা লিখতে গেলে 0 থেকে 7 পর্যন্ত অঙ্ক ব্যবহার করে লিখতে হয়। কিন্তু (258)8 সংখ্যাটিতে ৪ ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং, (258)8 সংখ্যাটি সঠিক নয়।

 

প্রশ্ন ১২। (298)8 সংখ্যাটি সঠিক কি-না- ব্যাখ্যা  কর। [সি,বো ২০১৬]


উত্তরঃ (258)8 সংখ্যাটি সঠিক নয়। কারণ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতিতে অঙ্কগুলো হলো 0. 1. 2. 3. 4. 5. 6 ও 7। মোট ৮টি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। অকটাল সংখ্যার বেজ ৮। অকটাল পদ্ধতিতে যেকোনো সংখ্যা লিখতে গেলে 0 থেকে 7 পর্যন্ত অঙ্ক ব্যবহার করে লিখতে হয়। কিন্তু (258)8 সংখ্যাটিতে ৪ ও 9 ব্যবহার করা হয়েছে। সুতরাং, (258)8 সংখ্যাটি সঠিক নয়।

 

প্রশ্ন ১৩। ১৭ এর পরের সংখ্যাটি ২০- ব্যাখ্যা করো [রা. বো, ‘২৪]

 

উত্তরঃ দশমিক সংখ্যাপদ্ধতিতে ১৭ এর পরের সংখ্যাটি ১৮। আবার, ডেসিমালের ১৮ কে অক্টালে প্রকাশ করলে ২০ হয়। সুতরাং ১৭ এর পরের সংখ্যাটি ২০ হবে যদি তা অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি হয়।

 



রূপান্তর

প্রশ্ন ১৪। 5+3=10 ব্যাখ্যা কর। [চ. বো. ‘২৩]

 

উত্তরঃ এটি একটি অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির যোগ। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 5+3 = ৪ হয়। কিন্তু অক্টাল পদ্ধতিতে যোগ করলে 5+3 = 10 হয়। অক্টাল পদ্ধতিতে 7 এর পরবর্তী সংখ্যা 10 বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির সমতুল্য মান ৪।

 

প্রশ্ন ১৫। ৪+9=11 ব্যাখ্যা কর। [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]

 

উত্তরঃ  দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 8+9 = 17 হয়। কিন্তু ডেসিমালের 17 এর হেক্সাডেসিমাল মান 11 হয়। সুতরাং  ৪+9=11 একটি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির যোগ। 

 

প্রশ্ন ১৬। 9+7=20 কীভাবে সম্ভব তা দেখাও। [য. বো, ২৩]

 

উত্তরঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 9+7=16 যা অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে রূপান্তর করলে 20 হয়।

সুতরাং দশমিক সংখ্যা ব্যবস্থায় 9+7 এর সমতুল্য অক্টাল মান 20। এভাবেই 9+7=20 সম্ভব হয়।

 

প্রশ্ন ১৭। 9+7= 10 সম্ভব কিনা? ব্যখ্যা করো। [কু. বো, ১৯]


উত্তরঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 9+7=16 হয়। কিন্তু ডেসিমালের 16 এর হেক্সাডেসিমাল মান 10 হয়। সুতরাং 9+7=10 একটি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির যোগ।

 

প্রশ্ন ১৮। 6+5+3=1110 হতে পারে- ব্যাখ্যা কর। [চা, বো, ‘১৯] 

 

উত্তরঃ দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 6+5+3-14 হয়। দশমিক সংখ্যা 14 এর বাইনারি 1110 হয়। অতএব,  6+5+3=1110 হতে পারে।

 

প্রশ্ন ১৯। ১১+১=১০০ হতে পারে ব্যাখ্যা করো [রা. বো, ‘২৪] 

 

উত্তরঃ ১১ + ১ = ১০০ হতে পারে, যদি আমরা সংখ্যাগুলোকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে বিবেচনা করি। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ১১ হলো ৩ এর এবং ১ হলো ১ এর বাইনারি রূপ। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে যোগ করার নিয়ম অনুযায়ী, ১ + ১ = ১০ হয়। তাই ১১ + ১ = ১০ + ১ = ১০০ হয়। 

 

প্রশ্ন ২০। বাইনারি, দশমিক, অকটাল, হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে ১০ সংখ্যাটির পূর্বের সংখ্যা কত? [হলি ক্রস কলেজ, ঢাকা।]

 

উত্তরঃ দশমিক পদ্ধতিতে ১০ সংখ্যাটির পূর্বের সংখ্যা ৯, বাইনারি পদ্ধতিতে ১০ সংখ্যাটির পূর্বের সংখ্যা ০১, অক্টাল পদ্ধতিতে ১০ সংখ্যাটির পূর্বের সংখ্যা ৭ এবং হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে ১০ সংখ্যাটির পূর্বের সংখ্যাটি হলো F।

 

প্রশ্ন ২১। FFFF-এর পরের সংখ্যাটি 10000- ব্যাখ্যা কর। [সরকারি ব্রজলাল কলেজ, খুলনা।]

 

উত্তরঃ (FFFF) এর পরের সংখ্যাটি 

(FFFF)16+1

=(1111 1111 1111 1111)2 +1

=(1 0000 0000 0000 0000)2

=(0001 0000 0000 0000 0000)2

=(10000)16

 

সুতরাং হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে FFFF এর পরের সংখ্যাটি হলো 10000।



বেজ

প্রপ্রশ্ন ২২। “অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেইজ ৮”- ব্যাখ্যা কর। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা।]

 

উত্তরঃ কোনো সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হচ্ছে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট চিহ্ন সংখ্যা। অক্টাল পদ্ধতিতে ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ চিহ্নসমূহ অর্থাৎ ৮ টি চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। তাই অক্টাল সংখ্যার ভিত্তি ৮।

 

প্রশ্ন ২৩। ৩-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। [ঢাকা, যশোর, সিলেট ও দিনাজপুর বোর্ড ২০১৮।]

 

উত্তরঃ কোনো সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হচ্ছে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট চিহ্ন সংখ্যা। ৩-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০, ১ ও ২ এ তিনটি অঙ্ক ব্যবহার করা  যাবে। তাই এ সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি ৩। 

 



কোড

প্রশ্ন ২৪। বাইনারী ও বিসিডি এক নয় -ব্যাখ্যা কর। [ঢা. বো, ‘২৩]

উত্তরঃ যে  সংখ্যা পদ্ধতিতে কেবলমাত্র ০ এবং ১ দিয়ে সকল সংখ্যা প্রকাশ করা হয় তাকে  বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতিতে বলে। বাইনারী সংখ্যাপদ্ধতির বেজ হচ্ছে ২ । অপরদিকে বিসিডি কোন সংখ্যা পদ্ধতিই নয়।ডেসিমেল সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে তার সমতুল্য ৪ বিটের বাইনারি মান দ্বারা প্রকাশ করলে প্রাপ্ত বাইনারী বিন্যাসটিকে BCD কোড বলে।

প্রশ্ন ২৫। BCD কোনো সংখ্যা পদ্ধতি নয় -ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ BCD বা Binary Coded Decimal একটি সংখ্যা প্রকাশের কোডিং পদ্ধতি, এতে প্রতিটি দশমিক সংখ্যা (০ থেকে ৯) আলাদাভাবে ৪ বিটের বাইনারি সংখ্যায় লেখা হয়। যেমন দশমিক সংখ্যা 25 এর কোড 0010 0101 হবে। সংখ্যা পদ্ধতি হতে হলে অঙ্কের নিজস্ব মান, স্থানিক মান ও বেজ এর প্রয়োজন হয় তাই BCD কোনো সংখ্যা পদ্ধতি নয়।

প্রশ্ন ২৬। ৭২৫ এর বিসিডি কোড নির্ণয় কর।

 

উত্তরঃ যেহেতু বিসিডি (Binary Coded Decimal) কোডে প্রতিটি দশমিক অঙ্ককে ৪ বিটের বাইনারি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। তাই ৭২৫ এর বিসিডি কোড বের করতে হলে প্রথমে প্রতিটি অঙ্ককে আলাদাভাবে ৪ বিটের বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করতে হবে।

     ৭ = ০১১১

     ২ = ০০১০

     ৫ = ০১০১

এই বাইনারি সংখ্যাগুলোকে একসাথে লিখলেই ৭২৫ এর বিসিডি কোড পাওয়া যায়। অতএব,  ৭২৫ এর বিসিডি কোড = ০১১১ ০০১০ ০১০১

প্রশ্ন ২৭। (123)10 কে BCD কোডে রূপান্তর কর।

 

উত্তরঃ যেহেতু বিসিডি (Binary Coded Decimal) কোডে প্রতিটি দশমিক অঙ্ককে ৪ বিটের বাইনারি সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। তাই 123 এর প্রতিটি অঙ্ককে আলাদাভাবে ৪ বিটের বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করলে পাই,

     1=0001

     2 = 0010

     3 = 0011

এই বাইনারি সংখ্যাগুলোকে একসাথে লিখলেই (123)10 এর বিসিডি কোড পাওয়া যায়। অতএব,  (123)10 এর বিসিডি কোড = 000100100011

প্রশ্ন ২৮। ASCII কোড একটি আলফানিউমেরিক কোড – ব্যাখ্যা কর।  [রা. বো, ‘২৩] 

উত্তরঃ যেসব পদ্ধতিতে সংখ্যাসহ বর্ণ, যতিচিহ্ন, গানিতিক চিহ্ন ইত্যাদি বাইনারীতে রূপান্তর করা যায় তাদের আলফানিউমেরিক কোড বলে। ASCII কোড ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্নসহ মোট ১২৮ টি বর্ণকে বাইনারি ভাষায় প্রকাশ করে। সুতরাং, ASCII কোড একটি আলফানিউমেরিক কোড।

প্রশ্ন ২৯। বহুল ব্যবহৃত ৮ বিটের কোডটি ব্যখ্যা করো।  [দি. বো, ‘২৩] 

উত্তরঃ বহুল ব্যবহৃত ৮ বিটের কোডটি ASCII-8 যাকে Extended ASCII-ও বলা হয়। ASCII এর পূর্ণরূপ American Standard code for information interchange । আগের ASCII ছিল ৭-বিটের, যাতে মাত্র ১২৮টি ক্যারেক্টার রাখা যেত। পরে একটি বিট যুক্ত করে ৮-বিট ASCII বানানো হয়, যাতে ২৫৬টি ক্যারেক্টার রাখা যায়।

প্রশ্ন-৩০। ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশীর্বাদ- বুঝিয়ে লেখো।

[সি. বো. ২০১৯, ৮. বোঃ ২০১৭]

উত্তরঃ ইউনিকোড বিশ্বের প্রায় সব ভাষাকে সমর্থন করে। যা ভাষার বাধা দূর করে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান সহজ করেছে। ফলে সহযোগিতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তির উন্নইয়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে এবং বহুভাষিক অ্যাপ তৈরির মাধ্যমে জীবন মানকে উন্নত করছে। সংক্ষেপে, এটি যোগাযোগ ও তথ্যের আদান-প্রদানে বিপ্লব এনেছে।

প্রশ্ন-৩১. ইউনিকোড বাংলা ভাষা বুঝতে পারে -ব্যাখ্যা করো। [ঢা. বো. ২০১৯]

উত্তরঃ ইউনিকোড বিশ্বের প্রায় সব ভাষাকে সমর্থন করে। যা ভাষার বাধা দূর করে বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান সহজ করেছে। ইউনিকোডে অন্যান্য ভাষার মত বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণ ও চিহ্নসমূহ অর্ন্তরভুক্ত রয়েছে। যারফলে ইউনিকোড বাংলাভাষা বুঝতে পারে।



২ এর পরিপূরক

প্রশ্ন ৩২। বিয়োগের কাজ যোগের মাধ্যমে সম্ভব ব্যাখ্যা কর। [ঢা. বো,২৪, রা. বো, ১৬] 

 

 উত্তরঃ বিয়োগ মানে ঋণাত্মক যোগ। কোনো সংখ্যা থেকে অন্য সংখ্যা বিয়োগ করা মানে হলো, প্রথম সংখ্যার সাথে দ্বিতীয় সংখ্যার ঋণাত্মক মান যোগ করা। উদাহরণস্বরূপ, ৫ – ৩ = ২, এর অর্থ ৫ + (-৩) = ২। কম্পিউটারে, যোগ এবং ঋণাত্মক মান একই বর্তনী দিয়ে করা যায়, তাই বিয়োগের কাজ যোগের মাধ্যমেই সম্ভব।

প্রশ্ন ৩৩। “ঋণাত্মক মান গঠনের মাধ্যমে যোগের কাজ করা যায়”- ব্যাখ্যা কর [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা]

 

উত্তরঃ ঋণাত্মক মান গঠনের মাধ্যমে যোগের কাজ করা যায়। প্রদত্ত সংখ্যা দুটির ২ এর পরিপূরক পদ্ধতিতে ঋণাত্মক মান নির্ণয় করতে হবে। অতপর প্রাপ্ত মানের বাইনারি যোগ করতে হবে এবং ক্যারিবিট বাদ দিতে হবে। এভাবে ঋণাত্মক মান গঠন করে যোগফল নির্ণয় করা যায়।

 

প্রশ্ন ৩৪। ২-এর পরিপূরক ডিজিটাল বর্তনীকে সরল করে- ব্যাখ্যা কর। [রা.বো. ১৯]

 

উত্তরঃ সাধারণভাবে কম্পিউটারের মাধ্যমে যোগ ও বিয়োগের কাজ করতে হলে যোগের জন্য Adder Circuit এবং বিয়োগের জন্য Subtractor Circuit পৃথক পৃথক ভাবে ব্যবহার করতে হয়। এতে করে ডিজিটাল বর্তনীর জটিলতা বাড়ে এবং সর্বোপরি মূল্যও বৃদ্ধি পায়। এ সকল অসুবিধাসমূহ দূর করার জন্য ২’এর পরিপূরক ব্যবহার করা হয়। ফলে ডিজিটাল বর্তনীটি সরল হয়।

প্রশ্ন-৩৫. ২-এর পরিপূরক গঠনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো। [রা.বো ২০১৯; দি.বো ২০১৭, রা,কু,চ,বো ২০১৮]

উত্তরঃ ২-এর পরিপূরক গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিচে দেওয়া হলো-

১. চিহ্নযুক্ত এবং চিহ্নবিহীন সংখ্যা যোগ করার জন্য একই বর্তনী ব্যবহার করা যায়।

২. যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগের জন্য একই বর্তনী ব্যবহার করা যায়।

৩। +০ ও -০ এর জটিলতা নেই।

৪। বর্তনী সরল প্রকৃতির ।

৫। খরচ কম

প্রশ্ন-৩৬. ২ এর পরিপূরক করলে সংখ্যার শুধুমাত্র চিহ্নের পরিবর্তন হয় বুঝিয়ে বলো [সি.বো. ১৯]

উত্তরঃ ২ এর পরিপূরক (Two’s Complement) হলো বাইনারি সংখ্যার একটি পদ্ধতি যা ঋণাত্মক এবং ধনাত্মক সংখ্যা প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে প্রদত্ত সংখ্যাটির বাইনারি বিটগুলো প্রথমে উল্টে (১ কে ০ ও ০ কে ১) এবং পরে ১ যোগ করে নতুন মান তৈরি করা হয়। সর্ববামপাশের বিটটি ০ হলে সংখ্যাটি ধনাত্মক এবং ১ হলে ঋনাত্মক বুঝায়। ফলে সংখ্যার মান একই থাকলেও চিহ্ন পরিবর্তিত হয়ে যায়।



বুলিয়ান অ্যালজেবরা

প্রশ্ন-৩৭. বুলিয়ান অ্যালজেবরার ভিত্তিগুলো ব্যাখ্যা করো। [মাদরাসা বোর্ড ২০১৮]

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরা হলো বীজগণিতের একটি শাখা, যা সত্য (১) অথবা মিথ্যা (০) এই দুই অবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরী। কম্পিউটার যেহেতু বাইনারী পদ্ধতি ব্যবহার করে তাই কম্পিউটার ১ ও ০ দ্বারা যথাক্রমে সত্য ও মিথ্যাকে প্রকাশের মাধ্যমে সকল গানিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ করে থাকে। এই সকল গানিতিক কাজ শুধুমাত্র ৩টি অপারেশনের মাধ্যমে করা হয়, যথাঃ পূরক, যৌক্তিক যোগ ও গুণ। 

প্রশ্ন-৩৮. বুলিয়ান অ্যালজেবরার ভিত্তিগুলো ব্যাখ্যা করো। [মাদ্রাসা বোর্ড ২০১৮]

উত্তর: যৌক্তিক চলক এবং যুক্তিমূলক অপারেশনসমূহের সহযোগে গঠিত গণিতকেই বুলিয়ান বীজগণিত বলা হয়। বুলিয়ান অ্যালজেবরা মূলত লজিকের সত্য অথবা মিথ্যা এই দুটি স্তরের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। বুলিয়ান অ্যালজেবরার এ দুটি অবস্থার জন্য পরবর্তী সময়ে যখন কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়, তখন ‘বুলিয়ান অ্যালজেবরার সত্য ও মিথ্যাকে বাইনারির ‘1’ এবং ‘0’ দ্বারা পরিবর্তন করে নিতেই কম্পিউটারের সমস্ত গাণিতিক সমস্যা বুলিয়ান অ্যালজেবরার সাহায্যে করা সম্ভব হয়।

প্রশ্ন-৩৯. বাইনারী যোগ ও বুলিয়ান যোগ এক নয় ব্যাখ্যা করো। [কু.বোর্ড ২০২৮]

বাইনারী যোগ এবং বুলিয়ান যোগের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো – বাইনারী যোগ হলো দুই বা ততোধিক বাইনারী সংখ্যাকে যোগ করার একটি প্রক্রিয়া, যেখানে বুলিয়ান যোগ হলো দুটি বুলিয়ান মানকে যোগ করার একটি প্রক্রিয়া। বাইনারী যোগের নিয়ম অনেকটা দশমিক যোগের মতোই, তবে এখানে ১ + ১ = ১০ হয়। বুলিয়ান যোগ আসলে একটি যৌক্তিক “OR” অপারেশনের মতো কাজ করে। এর মানে হলো, যদি দুটি মানের মধ্যে একটিও সত্য হয়, তাহলে ফলাফল সত্য হবে।



গেট

প্রশ্ন-৪০. ন্যান্ড গেটকে সার্বজনীন গেট বলা হয় কেন? [ব. বো. ২০২৩]

উত্তরঃ যে গেট এর সাহায্যে মৌলিক গেটসহ অন্যান্য সকল গেট বাস্তবায়ন বা তৈরি করা যায় তাকে সার্বজনীন গেট বলে। শুধুমাত্র ন্যান্ড এর সাহায্যেই মৌলিক গেটসহ অন্যান্য সকল গেট বাস্তবায়ন বা তৈরি করা যায় বলে ন্যান্ড গেটকে সার্বজনীন গেট বলে।

প্রশ্ন-৪০. XOR সকল মৌলিক গেইটের সমন্বিত লজিক গেইট- ব্যাখ্যা করো। [ব. বো. ২০১৬]

উত্তর: Exclusive OR গেইটকে সংক্ষেপে XOR Gate বলা হয়। একটি XOR Gate এর ইনপুট A এবং B হলে আউটপুট সমীকরণ, A̅B + AB̅

নিচে A̅B + AB̅ সমীকরণটি মৌলিক গেইট দ্বারা বাস্তবায়ন দেখানো হলো-

[XOR গেটের চিত্র]

XOR গেটের সমীকরণ ও সার্কিটের চিত্র থেকে দেখা যায়, এতে অ্যান্ড, আর ও নট তিন প্রকার মৌলিক গেটই বিদ্যমান



অ্যাডার

প্রশ্ন-৪১. হ্যাফ অ্যাডার বলতে কি বুঝো? [ব. বো. ২০১৫]

উত্তরঃ যে ডিজিটাল বর্তনী কেবলমাত্র দুটি বাইনারী বিটকে যোগ করে আউটপুট হিসেবে একটি যোগফল (S) এবং একটি ক্যারিবিট (C) প্রদান করে, তাকে হাফ অ্যাডার (Half Adder) বা অর্ধযোগের বর্তনী বলে।

 

half adder -এর ব্লক ডায়াগ্রাম
হাফ অ্যাডারে যেহেতু শুধুমাত্র ২ টা ইনপুটই দেওয়া যায় তাই 22 অর্থাৎ চার ধরনের ইনপুট সেট বা combination সম্ভব। সুতরাং হাফ অ্যাডারের সত্যক সারণী (Truth Table) নিম্নরূপঃ
সত্যক সারণী
Inputs Outputs
x y co s
0 0 0 0
0 1 0 1
1 0 0 1
1 1 1 0



এনকোডার

প্রশ্ন-৪২. এনকোডার ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যাপক ভূমিকা রাখে- ব্যাখ্যা লেখো। [রা, কু. বো. ২০১৮]

 

উত্তর: যে ডিজিটাল ডিভাইস মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করে তাকে এনকোডার বলে। মানুষ আলফানিউমেরিক বর্ণ বোঝে কিন্তু কম্পিউটার শুধুমাত্র বাইনারি অর্থাৎ 0 ও 1 বোঝে। এনকোডার না থাকলে মানুষের ভাষাকে ডিজিটাল ডিভাইসের ভাষায় পরিণত করা সম্ভব হতো না। ফলে মানুষ এবং ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে কোনো সমন্বয় হতো না। তাই বলা যায়, ডিজিটাল ডিভাইসে এনকোডার ব্যাপক ভূমিকা রাখে।



ডিকোডার

৪৩। ডিকোডার কী? [সি. বো. ‘১৭]


উত্তরঃ যে ডিজিটাল বর্তনীর সাহায্যে কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় অর্থাৎ কোডেড ডেটাকে আনকোডেড ডেটায় রূপান্তর করা হয়, তা-ই ডিকোডার।



রেজিস্টার

প্রশ্ন-৪৪. রেজিস্টারের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো। [মাদরাসা বোর্ড ২০১৮]

উত্তর: রেজিস্টার হলো কতকগুলো ফ্লিপ-ফ্লপ এর সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যা বাইনারি তথ্যকে সংরক্ষণ করে থাকে। রেজিস্টার এক প্রকার অস্থায়ী মেমোরি ডিভাইস। সাধারণত মাইক্রোপ্রসেসর ডেটা প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে রেজিস্টারে ডেটা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য রেজিস্টার ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-৪৫. প্যারালাল লোড রেজিস্টার বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: প্যারালাল লোড রেজিস্টার হলো এক ধরনের রেজিস্টার যা একই সময়ে একাধিক বিট ডেটা লোড করতে পারে। এতে ফ্লিপ-ফ্লপগুলো সমান্তরালে সাজানো থাকে। একটিমাত্র কমন ক্লক পালস এর মাধ্যমে লোড রেজিস্টারের সকল ফ্লিপ-ফ্লপের ইনপুট বিটসমূহ এদের আউটপুটে স্থানান্তরিত হয়। এটি কম্পিউটারের মেমোরি এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরের জন্য প্রধানত ব্যবহৃত হয়। 

কাউন্টার

প্রশ্ন-৪৬. একটি  4-বিট বাইনারি কাউন্টার কতটি সংখ্যা গুনতে পারে? [মাদ্রাসা বোর্ড ২০১৮]

উত্তরঃ একটি n-বিটের কাউন্টার মোট 2n টি সংখ্যা গুনতে পারে। সুতরাং, ৪-বিট বাইনারি কাউন্টার সর্বোচ্চ 24 = 16 টি সংখ্যা গুনতে পারে। অর্থাৎ, এটি ০ থেকে ১৫ পর্যন্ত মোট ১৬টি ভিন্ন সংখ্যা গুনতে বা প্রদর্শন করতে পারে।